সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সইফ কাণ্ডে অভিযুক্ত সম্পর্কে একের পর এক উঠে আসছে নিত্যনতুন তথ্য। অভিযুক্তকে রবিবার-ই গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বই পুলিশ। হামলার প্রায় ৭০ ঘণ্টার মাথায় মুম্বই পুলিশ তার নাগাল পেয়েছিল। ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি। নাম, মোহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। তদন্তের মুখে অভিযুক্ত শেহজাদ জানিয়েছে সে বাংলাদেশের জেলা এবং জাতীয় স্তরের কুস্তিগির ছিল! বাংলাদেশে থাকাকালীন কম ওজনের ক্যাটিগরিতে কুস্তি লড়ত সে। জেলা ও জাতীয় স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিল সে। পুলিশের ধারণা, কুস্তির অভিজ্ঞতা থাকার কারণেই সইফকে সহজে কাবু করতে পেরেছিল অভিযুক্ত।
মুম্বইয়ের থানে অঞ্চলের কাসারবাদালি থেকে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সইফের বান্দ্রার বাড়ি থেকে ওই জায়গাটির দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিমি। এক শ্রমিক ঠিকাদারের মারফৎ খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে। থানের একটি জঙ্গুলে অঞ্চলে শ্রমিকদের বসতিতে হানা দেয়। পুলিশ এসেছে শুনেই ওই জঙ্গলে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত। প্রায় ৭ঘন্টা লুকোচুরির পর পুলিশের নাগালে আসে অভিযুক্ত। এবার জানা গেল ওই ঠিকাদারের মারফত খবর পেয়ে শরিফুল কোথায় থাকতে পারে, তার ঠিকঠাক খোঁজ পেল কী করে পুলিশ? জানা গিয়েছে পুলিশকে সাহায্য করেছে এক কাপ চা এবং ভুরজি-পাও। কীভাবে?
পুলিশ সূত্রে খবর, ওরলি অঞ্চলের একটি দোকান থেকে ৬ টাকা দিয়ে এক কাপ চা কিনে খেয়েছিল শরিফুল। খুচরো না থাকায় ফোনের একটি অ্যাপের সাহায্যে সেই বিল মিটিয়েছিল সে। এরপর আরও একটি দোকান থেকে এক প্লেট ভুরজি-পাও খেয়েছিল সে। বিল হয় ৬০টাকা। সেক্ষেত্রেও ওই দাম সে চুকিয়েছিল তার ফোনের ওই অ্যাপ থেকেই। যেহেতু মুম্বই পুলিশের কাছে শরিফুলের ফোন নম্বর ছিল, এবং সেই নম্বর থেকেই যেহেতু বিল মেটানো হয়েছিল খাবারের দোকানে, তা দেখেই ট্রেস করে পুলিশ এবং বুঝে যায় কোথায় আছে সইফের হামলাকারী।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সইফ আলি খান। মঙ্গলবার বেলা ১১টার কিছু পরেই হাসপাতালে পৌঁছে যান শর্মিলা ঠাকুর। তার পর আসেন করিনা কাপুর খান। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার মধ্যে অভিনেতাকে হাসপাতাল থেকে বের করিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
