সংবাদ সংস্থা মুম্বই: আশা ছিল তিনি ফিরবেন। দিন গুনছিল পরিবার। কিন্তু বাস্তবটা ছিল আরও বেশি নিষ্ঠুর। শেষরক্ষা হল না। ১২ জুন, ২০২৫-এ নিখোঁজ হওয়া গুজরাটি পরিচালক মহেশ কালাওয়াডিয়া ওরফে মহেশ জিরাওয়ালা-র খবর এসে পৌঁছল এক মর্মান্তিক মোড়ে। শাহিবাগ অঞ্চলের একটি দুর্ঘটনাস্থলে পাওয়া পোড়া স্কুটারের গায়ে থাকা ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর মিলিয়ে যখন পুলিশের সন্দেহ তৈরি হয়, তখনও পরিবার বলছিল—“উনি ফিরবেন”।
কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল সব আশা শেষ করে দিল। নিশ্চিত হয়ে গেল—দুর্ঘটনায় মহেশের মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে মিলল মহেশের দেহের সন্ধান? ১২ জুন সকালে ল গার্ডেন, আহমেদাবাদে কাউকে দেখা করতে বেরিয়েছিলেন মহেশ। তারপর থেকেই ফোন অফ। সন্ধান পাওয়া যায়নি আর। পরিবারের তরফে মিসিং ডায়েরি দায়ের করা হয়। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ ১০০টিরও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে, এবং শেষমেশ তাঁর ফোনের লোকেশন মেলে আহমেদাবাদে হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনাস্থলের মাত্র ৭০০ মিটার দূরে!
যে স্কুটারটি দুর্ঘটনাস্থলে পুড়ে গিয়েছিল, সেটির রেজিস্ট্রেশন ছিল জিরাওয়ালার নামে। তবুও পরিবার আশা ছাড়েনি। তাদের দাবি ছিল,“উনি কাজেই গিয়েছিলেন। রোজ যেমন যান। এটা হতে পারে না…”কিন্তু নিখোঁজ ব্যক্তির ডিএনএ মিল, স্কুটারের যন্ত্রাংশ চিহ্নিতকরণ, সব মিলিয়ে—অবশেষে দেহ সনাক্ত করে পরিবার কাঁদতে কাঁদতে গ্রহণ করে মহেশের মৃত্যুর সত্য।
মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই চলচ্চিত্র জগতের এক উঠতি মুখ ছিলেন মহেশ। পরিচিত ছিলেন মহেশ কালাওয়াডিয়া নামেও। প্রযোজনা সংস্থা ও চিত্রনাট্য লেখার কাজ করছিলেন। ভবিষ্যতের অনেক স্বপ্ন ছিল, অনেক স্ক্রিপ্ট, অনেক পরিকল্পনা—সব থেমে গেল এক অন্ধকার মোড়ে।
