নিজস্ব সংবাদদাতা: বদলে যাওয়া পরিচিত ভাবনায় যোগ হয়েছে সামাজিক পরিস্থিতির ছবি। চারপাশে ঘটে চলা নানা ঘটনার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠছে আসন্ন সিরিজে। সঙ্গে মিশছে টানটান রহস্য। এমনই এক গল্প বুনেছেন পরিচালক রাজদীপ ঘোষ। কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপে অম্লান মজুমদার। আবহ সঙ্গীতে প্রাঞ্জল দাস। ‘স্কাইপ্যান কমিউনিকেশনস’-এর ব্যানারে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘ক্লিক’-এ আসছে ‘ফলোয়ার্স’।
গল্পে 'লক্ষ্মী' ধারাবাহিকের জনপ্রিয় নায়িকা হিয়া। সমাজমাধ্যম যে পরিচিতির মূল মাধ্যম, সেই ধারনাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলে হিয়া। তার সমাজমাধ্যমের যাবতীয় দায়িত্ব এখন সৌম্যর কাঁধে। কিন্তু বহু চেষ্টাতেও সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয়তা বাড়ছিল না হিয়ার। সাহসী ছবিতে সে ভরিয়ে ফেলে পাতা। এরপরও কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় সৌম্যর বুদ্ধিতে একদিন অনুসরণকারীদের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে এক অদ্ভুত খেলায় সামিল হয় হিয়া।
সৌম্যর বুদ্ধিতে ঠিক হয়, হিয়ার হার্ট অ্যাটাকের একটি ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হবে সমাজ মাধ্যমে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তিন দিনের জন্য বগুলান নামের এক নির্জন দ্বীপে সৌম্যর হোটেলে গা ঢাকা দেয় হিয়া। কিন্তু পুরো ঘটনাটা মেনে নিতে পারে না হিয়ার এক অনুরাগী অনিন্দ্য। মনে মনে অনিন্দ্য হিয়াকে ভালবাসে। কিন্তু এর মাঝেই হঠাৎ খুন হয় হিয়া। মিথ্যে হয়ে যায় সত্যি! কে আছে এই চক্রান্তের পিছনে? সেই উত্তর মিলবে গল্পে।
অভিনয়ে দেখা যাবে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রাশিস রায়, সোহিনী গুহ রায়, অম্লান মজুমদার, শামিউল আলাম এবং স্যান্ডিকে। এই প্রথম ‘ক্লিক’-এর সঙ্গে কাজ করতে চলেছেন শান্তিলাল। অন্যদিকে, ছোটপর্দার পরিচিত মুখ সোহিনীর এই প্রথম ওয়েব ডেবিউ হতে চলেছে।
পরিচালক রাজদীপের কথায়, “সমাজ আর সমাজ মাধ্যমে এখন এক হয়ে গিয়েছে। যার ফলে প্রতি মুহূর্তে বিপদ বাড়ছে। একটা ইঁদুর দৌড়ে যেন সামিল হয়েছেন সকলে। আমি চেয়েছিলাম এর প্রতিবাদ করতে। তাই হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছি এই সিরিজের গল্প।”
লেখক অম্লান মজুমদারের চোখে, “যখনই কিছু লিখেছি, চেষ্টা করেছি একটা সামাজিক বার্তা দেওয়ার। কাজ, আজ আর মানুষের মাপকাঠি নয়, মাপকাঠি তার ‘ফলোয়ার্স’। এ এক ভয়ঙ্কর নেশা। মডার্ন ড্রাগও বলা যেতে পারে। একবারও ভেবেছেন এর পরিণতি কী? সেই রকমই নানাবিধ প্রশ্ন চিহ্ন তুলে ধরতে চেয়েছি এই কাহিনির মাধ্যমে।”
ইন্দ্রাশিস বলেন, “আজকের যুগে দুটো বিষয় খুব প্রাসঙ্গিক। একদিকে নিজের জীবন, অন্যদিকে সমাজমাধ্যমের হাতছানি। দুটোই আজ মিলেমিশে একাকার। সমাজমাধ্যম যেমন বদলে দিতে পারে মানুষের জীবন, আবার ধ্বংসও করে দিতে পারে। সেই ছবিই ফুটে উঠবে গল্পে।”
সোহিনী বলেন, “এটা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। এই সিরিজের বিষয়বস্তু অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সমাজ মাধ্যম এখন সবার জীবনের একটি বড় অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এটি আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ, তা সম্পূর্ণ আমাদের উপর নির্ভর করে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সমাজমাধ্যমের মোহে পড়লে কী পরিণতি হতে পারে, তা স্পষ্ট হবে গল্পে।”
‘ক্লিক’-এর ডিরেক্টর নীরজ তাতিয়ার কথায়, “নতুন বছর শুরু হয়েছে আমাদের সবার জন্য নতুন উদ্যম এবং আশার সঙ্গে। ‘ক্লিক’-এ আমরা আরও রোমহর্ষক থ্রিলার, আরও আকর্ষণীয় এবং উন্নত গল্পের বিষয়বস্তু তুলে ধরি। সবসময়েই নতুন গল্প বলার চেষ্টা করি। এই সিরিজ তারই অংশ।”
