সংবাদ সংস্থা মুম্বই:  এইমুহূর্তে সবচেয়ে বড় খবর। সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ্যে এল সইফ আলি খানকে হামলা করা দুষ্কৃতীর! সইফের বহুতলের আবাসনের আপদকালীন সিঁড়ি দিয়ে পালানোর সময় সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে তার ছবি! 

 

মুম্বই পুলিশের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে সইফ-হামলার অভিযুক্তর ছবি।  ছবিতে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত দ্রুত নামছে সেই সিঁড়ি দিয়ে। পাট করে আঁচড়ানো চুল, ক্লিন শেভড। তার পরনে কালো রঙের হাফ-হাত শার্টের সঙ্গে কালো জিনস। গলায় বাঁধা লাল স্কার্ফ।  নজর টেনেছে অভিযুক্তের পিঠে ঝোলানো একটি বড়সড় ব্যাগ। ছবি থেকেই স্পষ্ট ব্যাগটি ফাঁকা নয়, বরং জিনিসপত্রে ঠাসা! 

 

এইমুহূর্তে থমথমে মুম্বইয়ের বান্দ্রা। গোটা অঞ্চল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকায় সইফ আলি খানের বহুতল আবাসনে হামলা দুষ্কৃতীর। তাদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে বলি-তারকার। সেই সময় সইফের হাতে, ঘাড়ে, মেরুদণ্ডে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, সইফকে একাধিকবার কোপায় দুষ্কৃতী। তার পর সে পালায়। অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে। দুষ্কৃতী পালিয়ে যাওয়ার পর মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় সইফকে। এইমুহূর্তে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। শুরু হয়েছে জোর পুলিশি তদন্ত। অভিনেতার হাতে, ঘাড়ে ও শিরদাঁড়ায় গভীর ছুরিকাঘাত ছিল। শিরদাঁড়ায় গেঁথে ছিল আড়াই ইঞ্চি ছুরি। সইফের চিকিৎসক বলেন,  "অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিরদাঁড়া থেকে সেই ছুরি বার করা হয়েছে। ছুরি আটকে থাকার ফলে শিরদাঁড়া থেকে সেরিব্রোস্পাইনাল তরল নির্গত হচ্ছিল। এর সঙ্গে তাঁর ঘাড় ও হাতেও গুরুতর আঘাত ছিল। ঘাড়ে ক্ষত ছিল ১০ সেন্টিমিটারের!  ” জানান, আঘাত বেশ গুরুতর ছিল। অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে। আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে সইফকে। তবে বর্তমানে তিনি বিপন্মুক্ত।" 

 

বাবার বিপদের খবর পাওয়ামাত্রই সইফ-করিনার বাড়িতে পৌঁছন অভিনেতার বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। রক্তাক্ত অবস্থায় তখন পড়ে সইফ। আবাসনে সইফের গাড়ি থাকলেও চালক না থাকায় গাড়ি বের করা যায়নি। আশপাশে ছিল না অন্য কোনও গাড়িও। উপায় না দেখে কোনওরকমে ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ বাবাকে অটো রিকশায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি! 

 

লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক নিতিন দাঙ্গে বলেছেন, “শিরদাঁড়ায় গুরুতর চোট রয়েছে সইফের। শিরদাঁড়ায় গেঁথে ছিল আড়াই ইঞ্চি ছুরি।  ঘরে ক্ষত রয়েছে ১০ সেন্টিমিটারের! অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই ছুরি বার করা হয়েছে। ছুরি আটকে থাকার ফলে শিরদাঁড়া থেকে সেরিব্রোস্পাইনাল তরল নির্গত হচ্ছিল। এর সঙ্গে তাঁর ঘাড় ও হাতেও গুরুতর আঘাত ছিল। ”