নিজস্ব সংবাদদাতা: ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার নতুন সভাপতি ফিরদৌসুল হাসান। ২০১৯, ২০২০-র পর এই নিয়ে তৃতীয়বার। গত মঙ্গলবার গোয়াতে এই সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজকাল ডট ইন-কে এফএফআই-সভাপতি জানালেন, তাঁর মূল লক্ষ্য হবে কীভাবে ভারতের বিভিন্ন জায়গাকে দেশ-বিদেশের ছবির শুটিংয়ের গন্তব্যে পরিণত করা এবং সেসবকে কেন্দ্র করে পর্যন্টন শিল্পেরও উন্নতি ঘটানো। তাঁর কথায়, “শুধুই দেশীয় ছবির শুটিং নয়, চেষ্টা করব বিদেশি ছবির নির্মাতারাও যেন আমাদের দেশের নানা প্রান্তকে তাঁদের ছবির শুটিং লোকেশন হিসাবে পছন্দ করেন।”

 

‘ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া’ সংস্থাটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভারতীয় ছবিকে ভারতীয় ছবির প্রতিনিধিত্ব করে। এবং দেশের সমস্ত ভাষার ছবি ও সেই শিল্প সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের উন্নতিসাধন করা যাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি কোন ছবি অস্কারের মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে, সে ব্যাপারেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় এই সংস্থা ও তার সভাপতি। তা এই জাতীয় সংস্থার সভাপতি যখন বাঙালি তখন বাংলা ছবি কোন আশায় বুক বাঁধবে? সামান্য হেসে ফিরদৌসুল হাসান বললেন, “দেশের সব ছবির জন্যই নিয়ম এক। তবে অবশ্যই বাংলায় যেন সিঙ্গল স্ক্রিনের সংখ্যা বাড়ে, সেই বিষয়ে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন সুচিন্তক এই বিষয়ে।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই লক্ষ্যে ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে। আমি শুনেছি, ওঁর পরিকল্পনা রয়েছে বাংলার প্রতিটি জেলায় নন্দনের মতো একটি সরকারি প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা যেখানে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষেরা সস্তায় টিকিট কেটে ছবি দেখতে পারে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোনও পরিকল্পনা যদি করেন অবশ্যই আমরাও সদার্থকভাবে পা বাড়াব।”

 

 

এফএফআই-এর সভাপতি আরও বলেন, “বাংলায় প্রচুর ভাল ভাল ছবি তৈরি হচ্ছে। ভাল কন্টেন্টের অভাব নেই। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহের দামি টিকিট। আজকের দিনে চারজনের একটি পরিবার যদি মাল্টিপ্লেক্সে ছবি দেখতে যান, হাজার দুয়েক টাকা তাঁদের খরচ হবে। শুধু ছবি দেখতেই হাজার দুয়েক, তাহলে নিম্নবিত্ত অথবা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরা আসবেন কেন প্রেক্ষাগৃহে? মনে রাখতে হবে, দেশে, রাজ্যে এরকম পরিবারের সংখ্যাটা কিন্তু সবথেকে বেশি। তাই এই দিকটা ভাবতেই হবে যদি দেশের ছবির ইন্ডাস্ট্রির ভাল করতে হয়।”