সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউড অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শেয়ার করলেন এমন কিছু যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা, যা শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়। একদিকে যেমন করোনার লকডাউনের সময় বাইকে চড়ে যাওয়ার পথে এক টেম্পো ড্রাইভারের হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি, অন্যদিকে একটি ঘটনায় প্রকাশ্যে এক শারীরিক হেনস্থার প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তির কাছে শারীরিকভাবে নিগৃহীতও হতে হয় তাঁকে।

 

“লকডাউনের সময় সাইকেল চালাচ্ছিলাম, মুখে মাস্ক ছিল। হঠাৎ দেখি এক টেম্পো ড্রাইভার পিছন থেকে এসে হর্ন বাজাচ্ছে আর অদ্ভুত সব আওয়াজ করছে। আমাকে ফলো করছিল সে, যতক্ষণ না আমি নিজের বাড়ির গলিতে ঢুকি!”—বলেছেন ‘দঙ্গল’ অভিনেত্রী।

 

আরও পড়ুন: ‘ভাল ছেলে শুধু সিনেমাতেই থাকে’, বিজয় বর্মার সঙ্গে প্রেম-জল্পনায় জল ঢাললেন ফতিমা?

 

কিন্তু আরও ভয়ংকর অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে ঘটে, যখন এক পুরুষ প্রকাশ্যে তাঁকে অশ্লীলভাবে ছুঁয়েছিল। " সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে ঠাটিয়ে মেরে ফেলেছিলাম। কিন্তু সে এমন ভাবে আমায় ঘুষি মারে, আমি পড়ে যাই মাটিতে। ওই লোকটা আমায় এত জোরে মারে, যে আমি পুরোপুরি নীচে পড়ে যাই! আমি তো শুধু ওর ভুলের প্রতিবাদ করেছিলাম। "- মন্তব্য ফতিমার। 

 

এই ঘটনা ফতিমার জীবনে এক ‘ওয়েক-আপ কল’ হয়ে আসে। বলেন, “ওই ঘটনার পর আমি আরও সতর্ক হয়ে গেছি। বুঝেছি, এমন পরিস্থিতিতে কী করব, কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেব, সেটাও আমাদেরই ভেবে নিতে হয়। কীরকম কপাল বলুন! অন্যায় আমাদের সঙ্গে হচ্ছে, অথচ ভাবনা আমাদেরই—আমরা কীভাবে রিঅ্যাক্ট করব!”


সম্প্রতি তাঁকে দেখা গেছে অনুরাগ বসুর ‘মেট্রো…ইন দিনও’ ছবিতে, যেখানে তাঁর বিপরীতে ছিলেন আলি ফজল। সমালোচক ও দর্শকদের কাছ থেকেই ছবিটি পেয়েছে ইতিবাচক সাড়া। পাশাপাশি, নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘আপ জ্যায়সা কোই ’, যেখানে তিনি জুটি বেঁধেছেন আর. মাধবনের সঙ্গে। এই ছবিটি পরিণত প্রেম ও সঙ্গীতময় স্নিগ্ধ এক সম্পর্কের গল্প বলে।

কেরিয়ারে যতই সাফল্য আসুক, বাস্তব জীবনের এই ভয়ানক অভিজ্ঞতাগুলো যেন আজও ফাতিমার মন থেকে মুছে যায়নি । তাই এই সাহসী স্বীকারোক্তির মাধ্যমে বহু নারীর মনের কথাই যেন প্রকাশ করে দিলেন তিনি।

 

কয়েক মাস আগে, এক সাক্ষাৎকারে ফতিমা বলেছিলেন—“ দক্ষিণের ছবির একজন কাস্টিং এজেন্ট আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘তুমি তো সব করতে রাজি থাকবে, তাই তো?’ আমি তখন উত্তর দিই, আমি আমার কাজ মন দিয়ে করব, চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলে ধরার জন্য যা, যা প্রয়োজন সেটাই করব। কিন্তু উনি বারবার ওই কথাই বলছিলেন। তখন আমি ভাবলাম দেখি উনি কতটা নিচে নামতে পারেন, তাই বোকা সেজে শুনছিলাম।”
“প্রযোজকরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলতেন— ‘তোমাকে অনেকের সঙ্গেই ‘দেখা’ করতে হবে’, কিংবা ‘তোমাকে এটা ওটা করতে হবে’। যদিও সরাসরি কিছু বলত না, তবু কথার অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝা যেত। ফতিমা আরও যোগ করেন, “যে ব্যক্তি এমন ব্যবহার করেছিল, সে কোনও বড় প্রযোজক ছিল না, সম্ভবত একটা ছোট প্রোডাকশনের কেউ। ওর ব্যবহার, আচরণ কোনওভাবেই গোটা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিকে পেশ করে না!”


 
ফতিমা আরও জানান হায়দরাবাদে তিনি এমন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন, যেখানে প্রযোজকরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলতেন— “তোমাকে অনেকের সঙ্গেই ‘দেখা’ করতে হবে”, কিংবা “তোমাকে এটা ওটা করতে হবে”। যদিও সরাসরি কিছু বলত না, তবু কথার অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝা যেত। ফতিমা আরও যোগ করেন, “যে ব্যক্তি এমন ব্যবহার করেছিল, সে কোনও বড় প্রযোজক ছিল না, সম্ভবত একটা ছোট প্রোডাকশনের কেউ। ওর ব্যবহার, আচরণ কোনওভাবেই গোটা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিকে পেশ করে না!”