সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সইফ কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তকে হামলার প্রায় ৭০ ঘণ্টার মাথায় মুম্বই পুলিশ তার নাগাল পেয়েছিল। ১৬ জানুয়ারি বান্দ্রার অভিজাত সৎগুরু শরণ আবাসনে পাঁচিল টপকে প্রবেশ করেন শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ফকির। ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি। নাম, মোহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। তদন্তের মুখে অভিযুক্ত শেহজাদ জানিয়েছে সে বাংলাদেশের জেলা এবং জাতীয় স্তরের কুস্তিগির ছিল! বাংলাদেশে থাকাকালীন কম ওজনের ক্যাটিগরিতে কুস্তি লড়ত সে। জেলা ও জাতীয় স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিল সে। পুলিশের ধারণা, কুস্তির অভিজ্ঞতা থাকার কারণেই সইফকে সহজে কাবু করতে পেরেছিল অভিযুক্ত। পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে মূলত ডাকাতির উদ্দেশ্যে নিয়েই সইফের ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল সে। এক কোটি টাকারও দাবি করে বলি-তারকার কাছে। না পেতেই এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে অভিনেতাকে। সাইফকে গুরুতর জখম করেই সে পালিয়ে যায়। 

 

যদিও শরিফুলের বাবা মোহম্মদ রুহুল এ কথা স্বীকার করতে নারাজ। ধৃতের বাবার দাবি, সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তি ও গ্রেফতার হওয়ার শরিফুল এক মানুষ নন! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শরিফুলের বাবা মহম্মদ রহুল আমিন দাবি করেন, ‘‘সিসিটিভি ক্যামেরায় যাকে দেখা গিয়েছে সে আমার ছেলে নয়। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।’’ শরিফুলের বাবার কথায়, ‘‘আমার ছেলে গত ৩০ বছরে কখনও চুল বড় করেনি। সিসিটিভিতে যাকে দেখা গিয়েছে তাঁর সঙ্গে আমার ছেলের চেহারার মিল নেই। আমার বিশ্বাস আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।” আরও বলেন, “ও বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছে একটাই কারণে, বাংলাদেশের টালমাটাল অবস্থার জন্য। আমার ছেলের মুক্তির জন্য ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সাহায্য চাইব।”


প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের থানে অঞ্চলের কাসারবাদালি থেকে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সইফের বান্দ্রার বাড়ি থেকে ওই জায়গাটির দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিমি। এক শ্রমিক ঠিকাদারের মারফৎ খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে। থানের একটি জঙ্গুলে অঞ্চলে শ্রমিকদের বসতিতে হানা দেয়। পুলিশ এসেছে শুনেই ওই জঙ্গুলে এলাকার ঝোপঝাড়ের মধ্যে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত। প্রায় ৭ঘন্টা লুকোচুরির পর পুলিশের নাগালে আসে সে।