বলি অভিনেতা আমির খানের সঙ্গে যতটা মধুর তাঁর দুই বোনের সম্পর্ক, ঠিক ততটাই তিক্ত ভাই ফয়জল খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। এক সময় পারিবারিক সম্পত্তির ভাগাভাগির জেরে বিতণ্ডা তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। বলিউডের অন্দরের খবর, শুধুমাত্র আমির নন, পরিবারের কারওর সঙ্গেই নাকি সদ্ভাব নেই ফয়সলের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমিরের বিরুদ্ধে গুরুতর এক অভিযোগ এনেছেন ফয়জল। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, রিনা দত্তের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাকালীনই আমির এক বিদেশি সাংবাদিক জেসিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, তাঁদের নাকি এক অবৈধ সন্তানও রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও এতদিন এ বিষয়ে আমির বা জেসিকা কেউই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।

 


ফয়জল  খানের বিস্ফোরক দাবি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে বলিউড মহলে।ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখিকা জেসিকা হাইনস, যিনি নয়ের দশকের শেষ দিকে অমিতাভ বচ্চনের জীবনী লেখার কাজে ভারতে এসেছিলেন, তাঁর সঙ্গে নাকি আমিরের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। ফয়জলের অভিযোগ— সেই সম্পর্কই গড়ায় বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্কে এবং একটি সন্তানের জন্মেও!  তাঁর বক্তব্য, সাহস থাকে তো আমির ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখাক।

 

ফয়জলের কথায়, “আমির রিনাকে বিয়ে করেছিলেন, পরে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপর জেসিকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তাঁদের একটি ‘সন্তান’ও হয়। ততদিনে কিন্তু কিরণের (রাও) সঙ্গে একত্রবাস করা শুরু করে দিয়েছেন আমির।” শুধু তাই নয়, তিনি এবার  জোর গলায় বললেন— “সবাই জানে আমিরের জেসিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এবং তাঁদের একটি সন্তানও আছে। এটা ডিএনএ টেস্ট করলে প্রমাণিত হবে। আমি যা বলছি তার সব প্রমাণ আমার কাছে আছে। আমি কিছু বানিয়ে বলছি না।”

আমিরের ভাবমূর্তি নিয়েও কটাক্ষ করেন ফয়জল। তাঁর দাবি— “তিনি সবসময় দর্শকের সামনে পরিষ্কার, নিখুঁত ইমেজ তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাস্তবটা একেবারেই অন্যরকম। এত নারীর সঙ্গে সম্পর্ক, এত কিছুর পরও তিনি নিজের ইমেজ ‘হোয়াইটওয়াশ’ করতে চান।”


আমিরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁর ভাই বলেন, “আমির যখন রিনার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে ছিলেন, তখন আমি পাশে ছিলাম। ওঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়, আর আমির নিজের কাজে ডুবে যান। ওই সময়ে আমিও নিজের কেরিয়ার নিয়ে সংগ্রাম চালাচ্ছিলাম।”
প্রসঙ্গত, আমির ও রিনা দত্তর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল ২০০২ সালে। তারপরই শুরু হয় তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায়— কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সংসার।

কিন্তু ফয়জলের এই বিস্ফোরক অভিযোগে আবারও প্রশ্ন উঠল— আমির–জেসিকা অধ্যায় কি সত্যিই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল? না কি ফয়জলের অভিযোগ শুধুই ব্যক্তিগত আক্রোশ? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে বলিপাড়ার অলিতে-গলিতে।