ওটিটি একের পর এক আলোচিত সিরিজ পরিচালনা করার পর এবার পরিচালক সুপর্ণ বর্মা-র লক্ষ্য বড়পর্দা। বহুদিন ধরেই বলিউডে গুঞ্জন চলছিল যে, তিনি একটি সামাজিক–রাজনৈতিক থিম নিয়ে ছবি করছেন। অবশেষে সূত্রে নিশ্চিত হল—ছবির নাম ‘হক’। আর এর কেন্দ্রে থাকছে এমন এক ঘটনা, যা একসময় গোটা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল—সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক শাহ বানু বনাম আহমেদ খান মামলা।

শাহ বানু মামলা – কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

১৯৮৫ সালের এই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট এক মুসলিম মহিলার ভরণপোষণের অধিকার স্বীকার করেছিল, যা ভারতীয় সমাজ–রাজনীতিতে প্রবল আলোড়ন তোলে। শাহ বানুর সাহসী লড়াই ও সেই ঐতিহাসিক রায় আজও বিতর্ক ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এই কাহিনি থেকেই অনুপ্রাণিত সুপর্ণের ‘হক’।

ছবির মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন ইমরান হাশমি ও ইয়ামি গৌতম। ইমরানের জন্য এটি একদম আলাদা মাইলফলক হতে পারে, কারণ দীর্ঘদিন পর তিনি এমন এক বাস্তবঘন ও কোর্টরুম ড্রামা ছবিতে আসছেন। অন্যদিকে, ইয়ামি গৌতম আবারও ফিরছেন বাস্তব ঘটনার ক্যানভাসে। ‘আর্টিকেল ৩৭০’-এর বিপুল সাফল্যের পর দর্শকরা তাঁকে এই ধরনের চরিত্রেই সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করেছেন।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার—যামি ও ইমরান এই প্রথমবার একসঙ্গে জুটি বাঁধলেন।


‘হক’ প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে জংলি পিকচার্স, সঙ্গে আছে ইনসমনিয়া ফিল্মস এবং বাওয়েজা স্টুডিওস। ছবির শুটিং গোপনে প্রায় শেষও হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর—ছবির টিজারও নাকি ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। যারা দেখেছেন, তাঁদের বিশ্বাস, ছবির টিজার প্রকাশ পেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠবে। ছবির টিজারের সঙ্গেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হবে ছবির মুক্তির তারিখ।

তবে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের ফিসফাস, ‘হক’ মুক্তি পাচ্ছে ২০২৫ সালের ৭ নভেম্বর। অর্থাৎ, দীপাবলি মরশুমেই বড়পর্দায় নামছে এই তীব্র কোর্টরুম ড্রামা, যা নিঃসন্দেহে দর্শকদের মধ্যে বিতর্ক, আলোচনা এবং তর্কের ঝড় তুলবে।

 কী কী রয়েছে ‘হক’-এ?

ঐতিহাসিক ও বিতর্কিত এক বাস্তব ঘটনার পুনর্নির্মাণ।

প্রথমবার একসঙ্গে ইমরান হাশমি ও ইয়ামি গৌতমের জুটি।

পরিচালক সুপর্ণ বর্মা—যিনি ওটিটি দুনিয়ায় প্রমাণ করেছেন তাঁর তীক্ষ্ণ গল্প বলার ক্ষমতা।

এবং সবচেয়ে বড় কথা—এটি নিছক সিনেমা নয়, বরং সমাজ–আইন–ধর্মের জটিল লড়াইকে বড়পর্দায় তুলে ধরার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস।