নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ খুশির ঈদ। গত এক মাস রমজান চলাকালীন রোজ নিয়ম করে রাত জেগেছেন, শেহরি করেছেন, নমাজ পড়েছেন, সময়মতো ইফতার করেছেন রিজওয়ান রব্বানি শেখ। তা আজকের এই দিন কীভাবে কাটছে টলিপাড়ার এই জনপ্রিয় অভিনেতার? খোঁজ নিল আজকাল ডট ইন।
অভিনেতা বললেন, “প্রথমেই আপনাকে এবং আপনাদের সংবাদমাধ্যমের পাঠকদের জানাই ঈদ মোবারক। প্রার্থনা করি, মানুষেরা যেন সুস্থ থাকেন, শান্তিতে থাকেন। রমজানের এক মাস আত্মশুদ্ধির সময়। চেষ্টা করি নিজেকে আরও ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। চাই, এই শিক্ষা যেন সারা বছর আমার সঙ্গে থাকে।”
“প্রতি বছর চেষ্টা করি এই দিনটি যেন পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারি নিজের বাড়িতে। আজ সকালে আনোয়ার শাহ রাস্তার মোড়ে টিপু সুলতান মসজিদে সকাল ৯টায় নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। বহু মানুষ এসেছিলেন। মসজিদের বাইরে বেরিয়ে দেখি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-ও এসেছিলেন। ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে। প্রতি বছরই উনি আসেন। ওঁর সঙ্গেও হাসি-শুভেচ্ছা বিনিময় হল। এরপর সোজা বাড়ি। আজ কোনও শুটিং রাখিনি। আসলে, ঈদ মানে তো আমার কাছে মায়ের হাতে রান্না। এবারও ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই মা রান্নাঘরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোনও বারণ শোনে না ।কে বোঝাবে ওঁকে? মাটন বিরিয়ানি, লাচ্ছা পরোটা, হরেক রকমের কাবাব, শের কোর্মা, চিকেন দো পেয়াঁজি, মাটন কষা, সিমুই...মানে শেষ নেই!” হাসতে হাসতে বলে ওঠেন রিজওয়ান। সামান্য থেমে ফের বলে ওঠেন, ভাই চাকরির জন্য এখন অন্য শহরে থাকে। তবে ঈদের সময় ও ফিরবেই বাড়িতে। এবারও ফিরেছে দিন দুয়েক আগে। তাই মনটা আরও খুশি। দু'ভাই মিলে জমিয়ে আড্ডা, মায়ের হাতের রান্না খাওয়া, বিকেলের রোদ পোহানো।”
প্রতি বছর ঈদের সময় তো নানান সমাজমসেবামূলক কাজও করেন? প্রশ্ন শুনেই খানিক থমকে যান অভিনেতা। কিছুটা যেন অস্বস্তি-ও। “দেখুন, এসব নিয়ে প্রচারের থেকে বহুদূরে থাকতে পছন্দ করি। ছোট থেকেই দেখেছি, বাড়ির বড়দের এই সময় যাঁরা দুঃস্থ, সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টায় মুখের হাসি ফুটিয়ে তুলতে। আমিও সেই চেষ্টা করি। সামান্য খাবার, নতুন পোশাক কিনে দিই তাঁদের। এবারেও করেছি। ওইটুকু সবাই করে... আজকের এই শুভ দিনে প্রার্থনা করি, হিংসা বা ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ হোক। আসুন না, সবাই মিলেমিশে হইহই করে থাকি।”
