হলিউডে ‘দ্য রক’ নামটা মানেই শক্তি, অনুপ্রেরণা আর অবিচল সাহস। কিন্তু এবার সেই ডোয়েন জনসন দেখালেন অন্য এক দিক — সংবেদনশীল, আত্মবিশ্বাসী, আর গভীরভাবে কৃতজ্ঞ এক শিল্পী। তাঁর সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত স্পোর্টস ড্রামা ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’—এর বক্স অফিস পারফরম্যান্স যতই হতাশাজনক হোক না কেন, অভিনেতা তার ভক্তদের উদ্দেশে লিখলেন এক আবেগময় বার্তা, যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বক্স অফিসে ঝড় তুলতে না পারলেও, তাঁর এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দর্শকের মন ছুঁয়ে গেলেন হলিউড তারকা ডোয়েন জনসন। নিজের নতুন ছবি ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’–এর হতাশাজনক ওপেনিংয়ের পরেও, আবেগে ভরা এক নোটে কৃতজ্ঞতা জানালেন অভিনেতা।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বেনি সাফদি পরিচালিত এই স্পোর্টস ড্রামা। তবে ৫০ মিলিয়ন ডলারের বাজেটের ছবিটি প্রথম সপ্তাহান্তে মাত্র ৬ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পেরেছে। তাও ৩,৩৪৫টি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়ে। অথচ বক্স অফিস পূর্বাভাস বলেছিল ওপেনিং উইকেন্ডে অন্তত ২০ মিলিয়ন ডলার ছুঁতে পারে ছবিটি!
বক্স অফিসে তাঁর ছবির এই নিম্নগতি আসলে বড়সড় প্রতিযোগিতার ফল — কারণ ঠিক একই সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে টেলর সুইফটের কনসার্ট ফিল্ম ‘টেলর সুইফট: দ্য অফিসিয়াল রিলিজ পার্টি অফ আ শো গার্ল’, যা কোনও বড় প্রচার ছাড়াই রেকর্ড ৩৩ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে! দ্বিতীয় স্থানে ছিল লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত ‘ওয়ান ব্যাটেল আফটার আনাদার’, প্রথম সপ্তাহান্তে যার আয় ছিল ১০.৩ মিলিয়ন ডলার!
তবু মন হার মানেননি জনসন। ইনস্টাগ্রামে ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ ছবিতে নিজের অভিনীত চরিত্রের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন—
“আমার হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাই সবাইকে, যারা ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ দেখেছেন। বক্স অফিসের ফলাফল আমাদের হাতে থাকে না, কিন্তু আমরা আমাদের পারফরম্যান্স আর প্রতিশ্রুতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এই ছবিটি আমার জীবন পাল্টে দিয়েছে।” জনসন আরও লেখেন—“পরিচালক বেনি সাফদির প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, আমি এই চরিত্রে নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারব। এই সুযোগ আমার জীবনের অন্যতম সম্মান।”
‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ একটি বায়োপিক, যা নির্মিত হয়েছে এমএমএ ফাইটার মার্ক কেরের জীবনের ওপর, যিনি ২০০২ সালের একই নামের ডকুমেন্টারিতেও ছিলেন মূল চরিত্র। ছবিতে ডোয়েনের বিপরীতে রয়েছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী এমিলি ব্লান্ট।

