সম্প্রতি, অ্যাডাল্ট ছবি খ্যাত অভিনেত্রী নেহাল ভদোলিয়া প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন যে, বিখ্যাত পরিচালক সুভাষ ঘাই অনুমতি ছাড়াই তাঁকে চুমু খেয়েছিলেন! স্বভাবতই সমাজ মাধ্যমে হু হু করে ভাইরাল হয় এই খবর! সেই ঘটনার পর এবার পরিচালক সুভাষ ঘাই একটি বিবৃতিতে জানান, তাঁর আইনজীবী দল “যেকোনও মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে কঠোর আইননত ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।”

 

সুভাষ ঘাইয়ের কথায়, "যে ব্যক্তি আমার, আমার সংস্থা বা দলের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তার বিরুদ্ধে আইনত ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তার জন্য আমার আইনজীবীদের দল প্রস্তুত।"

 

বর্ষীয়ান পরিচালক আরও যোগ করেন, "যদি কারও প্রকৃত অভিযোগ থেকে থাকে, তবে সেই অভিযোগ জানানোর সঠিক পথ হল পুলিশ অথবা যথাযথ আইনি কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাচাইহীন খবর ছড়ানো কেবল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং তা আইনবিরুদ্ধ।"

 

নেহাল ভদোলিয়া, যিনি 'গন্ধি বাত' ও 'দুনালি'-এর মত হিন্দি অ্যাডাল্ট ওয়েব সিরিজ পরিচিত, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ২০২১ সালে তাঁর যখন মাত্র ২৬ বছর বয়স, সেই সময়ে সুভাষ ঘাই তাঁর সঙ্গে 'অন্য আচরণ' করেছিলেন। জোর গলায় নেহাল জানান, তিনি তখন সুভাষ ঘাইয়ের ম্যানেজারের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন। একদিন সেই ম্যানেজার তাঁকে ঘাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যান।

 

নেহাল বলেন, "আমরা ওখানে মদ্যপান করছিলাম। এক সময় সুভাষ ঘাই আমার জন্য ওয়াইন ঢাললেন। পরে, তিনি আমার হাসি ও সৌন্দর্য নিয়ে মন্তব্য করলেন। আমি একটু পরে সেই ফ্ল্যাটের একটি আলাদা ঘরে গিয়েছিলাম বাথরুমটা ব্যবহার করব বলে...সেখান থেকে বেরিয়ে দেখলাম সুভাষ ঘাইও সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। এরপর আমার একদম কাছে এসে দাঁড়ালেন এবং হঠাৎ করে আমাকে চুমু খেতে এগিয়ে এলেন! কোনওরকমে মাথাটা সরিয়ে ফেলেছিলাম তাই আমার ঠোঁটের বদলে গালে এসে পড়েছিল ওঁর চুমু! গোটা ঘটনায় যেমন চমকে গিয়েছিলাম, তেমন ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।"

 

তারপর পুলিশের কাছে কেন গেলেন না অভিনেত্রী?পুলিশের কাছে অভিযোগ না করার কারণ হিসেবে তাঁর বক্তব্য, " গোটা ঘটনায় আমি এতটাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে কিছু বোঝার অবস্থায় ছিলাম না। পুলিশে যাওয়ার কথা আমার মাথাতেই আসেনি।"

 

 

সুভাষ ঘাই-এর বিরুদ্ধে এরকম যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠা এটা প্রথমবার নয়। ২০১৮ সালে যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে #মি টু (#MeToo) আন্দোলনের সময় সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী-মডেল কেট শর্মাও তাঁকে চুমু ও জোর করে জড়িয়ে ধরার অভিযোগ করেছিলেন! তখনও এই বর্ষীয়ান পরিচালক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

 

অভিনেত্রী নেহাল ভদোলিয়ার সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর সুভাষ ঘাই সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছিলেন- মানুষ কখনও কখনও “শুধু প্রচারের জন্য সঠিক বা ভুল বক্তব্য” দেয়।