তাঁদের প্রেম পুরনো হয় না। দিন যত যায়, ততই যেন বাড়ে। দেব এবং রুক্মিণী মৈত্রের সম্পর্ক নিয়ে তবু চর্চা যেন থামে না। শোনা গিয়েছিল, দু’জনের সম্পর্কের নাকি তাল কেটেছে। প্রেমিকের উপর নাকি অভিমান করেছিলেন নায়িকা। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢাললেন তাঁরা নিজেই।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন রুক্মিণী। সোনালি রঙের শাড়িতে সেজে উঠেছেন নায়িকা। গায়ে মানানসই গয়না। হালকা মেকআপ। মুখে হাসি। সহজ সাজে সুন্দরী পর্দার বিনোদিনী। অনুরাগীরা ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে। প্রেম প্রকাশ করেছেন তাঁর মনের মানুষও। রুক্মিণীর ছবিতে হার্ট এবং খারাপ নজরকে প্রতিহত করার ইমোজি দিয়েছেন দেব। যেন কিছু না বলেই বলে দিতে চাইছেন, তাঁদের প্রেমে নজর যেন না লাগে। উত্তর দিয়েছেন রুক্মিণীও। তবে প্রেমিককে প্রেম থুড়ি প্রেমের ইমোজি ফিরিয়ে দেননি তিনি। দুটো হাসি মুখের ইমোজি দিয়েই ইতি টেনেছেন।

সম্প্রতি দাদুকে হারিয়েছেন রুক্মিণী। কাছের মানুষের প্রয়াণে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত তিনি এবং তাঁর পরিবার। আপাতত সেই শোক সামলে ওঠার চেষ্টা।
 
 রুক্মিণীর জীবনের অনেকটা জুড়ে ছিলেন তাঁর দাদু। সাফল্যের আনন্দ হোক না বিশেষ দিনের উদযাপন, অভিনেত্রীর সব কিছুতেই শামিল ছিলেন তিনি। দাদুকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণাও তাই প্রবল। আজকাল ডট ইনের তরফে রুক্মিণীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "সদ্য দাদুকে হারিয়েছি। আমি এবং আমার পরিবার এই শোক কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।"
শোক কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছেন রুক্মিণী। সম্প্রতি একটি নামী গয়নার ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডারও হয়েছেন। সেই অনুষ্ঠানেই দেব এবং ‘ধূমকেতু’কে নিয়ে আবেগ উজাড় করেন নায়িকা। জানিয়েছেন, ১০ বছর আগেই দেখে ফেলেছেন ছবিটি।
দেবের সঙ্গে শুভশ্রীর রসায়ন কারও অজানা নয়। ‘ধূমকেতু’র হাত ধরে তা যেন ফের জীবন্ত। নস্টালজিয়ার পথ ধরে অতীতে ফিরেছিলেন অনুরাগীরাও। অনেকেই মনে করেছিলেন, পেশাগত কারণে হলেও এই নবনির্মিত বন্ধুত্বকে ভাল ভাবে নেন রুক্মিণী। সেই গুঞ্জনে জল ঢেলে তিনি বলেন, “২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে যদি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাহলে আর কিছুই বলার নেই। সবাই এখানে কাজ করছেন, সহ অভিনেতার সঙ্গে কাজ সহজ করাই প্রত্যেকের কাজ, আমি জানি ওরা প্রত্যেকেই খুব প্রফেশনাল। তাও এই সময় দাঁড়িয়ে এই ধরনের কথা হচ্ছে মানে আসলে আমরা পিছিয়ে গেছি।” শুধু মুখে বলা নয়, কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে বরাবর ভারসাম্য রেখেছেন দেব। এবার রুক্মিণীও সেই কথাই বললেন।
‘ধূমকেতু’র জন্মলগ্ন থেকে দেবের পাশে ছিলেন রুক্মিণী। ছবিটি নিয়ে প্রেমিকের দীর্ঘ সংগ্রাম চাক্ষুষ করেছেন। অথচ দীর্ঘ ন’বছর যখন ছবি মুক্তি পেল, সেদিন নৈঃশব্দ আঁকড়ে ছিলেন নায়িকা। নেটমাধ্যমে পোস্ট করেননি শুভেচ্ছাবার্তা। নেটিজেনদের একাংশ ভেবেছিলেন, নিছক মন কষাকষিক কারণেই চুপ তিনি। রুক্মিণীর একটি পোস্টই সেই ভুল ধারণা ভাঙল।
