সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সন্ধানী দৃষ্টিভঙ্গি, স্পষ্ট মত আর বাস্তব তুলনা— ঠিক এই ভঙ্গিতে বলিউড পরিচালক কবীর খান এবার সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা-দীপিকা পাড়ুকোন বিতর্কে সোজাসুজি পাশে দাঁড়ালেন দীপিকার। পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার আসন্ন ছবি ‘স্পিরিট’ থেকে দীপিকার সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, তখন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ও ‘৮৩’-এর পরিচালক একেবারে ব্যতিক্রমী সোজাসাপ্টা মত দিলেন।

 

প্রভাসের বিপরীতে অভিনয় করার কথা ছিল দীপিকা পাড়ুকোনের। কিন্তু শোনা যায়, দীপিকার মাতৃত্বোত্তর কাজের শর্ত মানতে রাজি হননি পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। দীপিকা চেয়েছিলেন দিনে ৮ ঘণ্টার কাজের শিডিউল ও কিছু নির্দিষ্ট পেশাদার পরিবেশ—যা ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক পুরুষ তারকাও পান।

 

এই কারণেই দীপিকাকে নাকি প্রজেক্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁর জায়গায় নেওয়া হয় 'অ্যানিম্যাল' খ্যাত তৃপ্তি দিমরিকে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়—এই ঘটনায় পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে ছড়িয়ে পড়ে গভীর এক বিতর্ক, যেখানে প্রশ্ন উঠছে নারী-পুরুষ তারকাদের কাজের পরিবেশ ও পারিশ্রমিকের সাম্যতা নিয়ে।

 

এক সাক্ষাৎকারে কবীর খান বললেন— “দীপিকার চাহিদা একদমই যৌক্তিক। আমির খান ৮ ঘণ্টার শিফটে কাজ করেন। অক্ষয় কুমারও করেন। তাহলে দীপিকার ক্ষেত্রে সমস্যাটা কোথায়?” তিনি আরও বলেন— “যদি কোনও পরিচালক এই শর্তে রাজি না হন, তাহলে সেটা নিয়ে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা হওয়া উচিত। শুধু না বললেই হবে না।” এই বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গেল—তিনি দীপিকার পাশে দাঁড়িয়ে, শিল্পের ভিতরের পুরুষতান্ত্রিক ও বৈষম্যমূলক বাস্তবতাকে সরাসরি প্রশ্ন করছেন। কবীর খান আরও বলেন— “যে অভিনেতা বা অভিনেত্রী দর্শক টানেন, তাঁরা যোগ্য সম্মান ও পারিশ্রমিক পাওয়ার দাবিদার—হোক সে পুরুষ বা নারী। দীপিকা বছরের পর বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহে ভিড় টানেন, তাই তিনি যে পারিশ্রমিক দাবি করেন, তা একদমই ন্যায্য।”

 

‘স্পিরিট’-এর এই বিতর্ক শুধু একটা সিনেমার গল্প নয়, এটা তুলে ধরছে ইন্ডাস্ট্রির গভীরে থাকা লিঙ্গ বৈষম্য ও পেশাদারিত্বের অভাবকে।একদিকে পরিচালকরা বলছেন, বড় বাজেটের ছবিতে ‘কম্প্রোমাইজ’ সম্ভব নয়।অন্যদিকে অনেকে বলছেন, নারী অভিনেত্রীদের কাজ ও মাতৃত্ব—দু’টোকেই সম্মান করতে হবে।