বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপুর আবারও প্রমাণ করলেন, তিনি মঞ্চে উঠলেই মাতিয়ে দেন ভক্তদের। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের একটি গয়না বিপণি সংস্থার নতুন শোরুম উদ্বোধনে অতিথি হিসেবে হাজির হন তিনি। ঝলমলে মনীশ মালহোত্রার শাড়ি পরে মঞ্চে উঠে নিজের হিট গান “ফেভিকল সে”-তে নেচে মুহূর্তেই উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেন। ভক্তদের সঙ্গে মঞ্চেই হাসিখুশি মেলামেশা করে মন জয় করেন অভিনেত্রী।
তবে অনুষ্ঠান চত্বরের বাইরেই ঘটে গেল এক চূড়ান্ত নাটকীয় ঘটনা। ভিড়ের চাপে এক মহিলা ভক্ত হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। স্বভাবতই মুহূর্তেই ভিড়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ের বহু পরে অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন করিনা। অভিনেত্রীর দেখা পাওয়ার জন্য ভক্তদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল— দুপুর ১টা থেকে প্রায় বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা। অনেক প্রবীণ ভক্তও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। কারও কারও মন্তব্য, “মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য হাজিরা দিতে মানুষকে এতক্ষণ দাঁড় করানো ভীষণ খারাপ ব্যবহার।”
অন্য এক নেটিজেন লিখেছেন, “কোনও অভিনেতাই এতক্ষণ অপেক্ষার যোগ্য নয়। সিনেমা হলে গিয়ে দেখলেই ভালবাসা প্রমাণ হয়।”তবুও এ দিন করিনা কাপুরের উপস্থিতি এবং মঞ্চের পারফরম্যান্স ভক্তদের মনে দাগ কেটেছে। ঝলমলে শাড়ি, হীরের দুল আর হালকা মেক-আপে উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল তাঁকে।
সামনে করিনার বড় চমক— প্রথমবার মালয়ালম তারকা পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের সঙ্গে তিনি কাজ করবেন 'দায়রা' ছবিতে। মেঘনা গুলজারের পরিচালনায় এই ছবি অপরাধ ও ন্যায়বিচারের অন্ধকার দিক উন্মোচন করবে। বর্তমানে ছবিটি প্রি-প্রোডাকশনে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, করিনা কাপুর খান এবং অর্জুন রামপাল। বলিউডের অন্যতম দুই সুর্দশন তারকা। পর্দায় যে তাঁদের রসায়ন চাক্ষুষ করার মতো হবেই, তা আর নতুন করে বলে দিতে হয় না। ২০১২ সালে মধুর ভান্ডারকরের হিরোইন ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করছিলেন তাঁরা। শেষমেশ নায়ক-নায়িকার মিলন লেখা না হলেও, প্রেমের দৃশ্যগুলির রেশ ছিল দীর্ঘমেয়াদি।এক সাক্ষাৎকারে অর্জুন বলেছিলেন, "বেবোর (করিনার ডাকনাম) সঙ্গে পর্দায় অন্তরঙ্গ হতে ভাল লেগেছে। এখনও ওর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলিতে অভিনয় করার স্মৃতি মনে করে চলেছি।" মধুরের ছবিতে করিনার প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অর্জুন। সেই প্রেমকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেই পর্দায় বেশ কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্য রাখা হয়েছিল।
অর্জুনের সেই সাক্ষাৎকার ফের চর্চায় উঠে এসেছে। করিনাকে নিয়ে তাঁর মন্তব্যটিকে ভাল ভাবে নেননি দর্শকদের একাংশ। জনৈক রেডিট ব্যবহারকারী লেখেন, 'ওঁর (অর্জুনের) এই মন্তব্য খুবই অদ্ভুত এবং অপেশাদার'। অন্য একজন আবার লিখেছেন, 'সেই সময় মনে হয় সকলেই এই ধরনের কথাবার্তা বলতে কোনও রকম দ্বিধাবোধ করতেন না।' আবার কেউ কেউ মনে করছেন, অভিনেতা আসলে এসব বলতে চাননি। নিছকই হয়তো ছবির প্রচারের কারণে এই ধরনের 'সস্তা' কৌশল বেছে নিতে হয়েছিল তাঁকে। কারণ অনেক সময়ই বিতর্ক একটি ছবিকে বক্স অফিসে অনেকটা এগিয়ে দেয়।
