নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্প্রতি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেয়েছে বাংলা ভাষা। মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমীয়ার সঙ্গে বাংলাকেও ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে কেন্দ্র। বর্তমানে এই তালিকায় জায়গা পাওয়া ভাষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১। যা আগে ছিল ৬। এই তালিকায় আগে ছিল তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লম এবং ওড়িয়া। 

 

বাংলা ভাষা 'ধ্রুপদী' ভাষার মর্যাদা পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি বাংলাভাষী মানুষেরা। সেই উপলক্ষ্যে গত ৮ নভেম্বর দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্যাফেতে ছায়ানট (কলকাতা) দলের আয়োজন করেছিল 'মোদের গরব, মোদের আশা/ আ-মরি বাংলা ভাষা' নামক এক অনুষ্ঠান।

 

 

অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন 'ছায়ানট'-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল এক বিশেষ আলোচনা সভা। তাতে অংশগ্রহণ করেন, ড. স্বাতী গুহ, অধিকর্তা, ইন্সটিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (আইএলএসআর), কলকাতা, অধ্যাপক অমিতাভ দাস

(স্কুল অফ লিঙ্গুস্টিক স্টাডিজ, ইন্সটিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (আইএলএসআর), কলকাতা এবং ড. রাজীব চক্রবর্তী, (লিঙ্গুইস্ট ইন্সটিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (আইএলএসআর), কলকাতা। 

 

এই পর্বে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন রয় চৌধুরী। বাংলা ভাষা কীভাবে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেল সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলে। এবং সেই তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনায় দর্শকদের স্বতস্ফূর্তঃ অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে অন্য মাত্রা দেয়।

 

বাংলা ভাষার উদযাপনমূলক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান তথা 'পুবের কলম' পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান। দীর্ঘদিন বাংলা ভাষাকে কাজের মাধ্যম হিসাবে নির্বাচন করার জন্য ৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সংবর্ধিত করে 'ছায়ানট'। তাঁরা হলেন- লেখক ও প্রতিবিম্ব পত্রিকার সম্পাদক প্রশান্ত মাজী, বাচিকশিল্পী তথা রেডিও ব্যক্তিত্ব রাজা দাস, ক্যুইজ মাস্টার দেবাশীষ সরকার এবং 'শব্দবাজি'র প্রতিষ্ঠাতা রয় চৌধুরী সম্মানিত হন এই সন্ধ্যায়।

 

'বাংলা' ভাষা নিয়ে বিভিন্ন কবির লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন ছায়ানটের বাচিকশিল্পীরা। কবিতা আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন স্বপ্নিকা দাস রায়, স্বর্ণিকা দাস রায়, তিস্তা দে, অরণ্য স্পন্দন ভদ্র, সুকন্যা রায়, দেবযানী বিশ্বাস, সুজল দত্ত, ইন্দ্রাণী লাহিড়ী, দেবলীনা চৌধুরী, সৃজিতা ঘোষ, সোনালী সাহা চৌধুরী, অভিদীপ্তা পাল, সোহালিয়া সিং, শ্রীকান্ত গোস্বামী, অনিন্দিতা ঘোষ এবং মৌমিতা ঘোষ। এবং অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে ছিল বাংলা শব্দের মজাদার খেলার অনুষ্ঠান 'শব্দবাজি'। অনুষ্ঠান শেষে অরিন্দম সাহা সরদার পরিচালিত 'একটি তরবারির রূপকথা' (স্বল্পদৈর্ঘ্যের কথাচিত্র) প্রদর্শিত হয়।