২৭ অক্টোবর, রবিবার সকালে অভিনেতা রজনীকান্ত এবং তাঁর মেয়ের প্রাক্তন স্বামী অভিনেতা ধনুষের বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। তামিলনাড়ুর ডিজিপির অফিসে একটি ই-মেল পাঠানো হয়। সেখানে দাবি করা হয় যে, তাঁদের বাড়িতে বিস্ফোরক বসানো হয়েছে। একই ই-মেলে তামিলনাড়ু কংগ্রেস কমিটির সভাপতি কে. সেভালপেরুন্তাগাই–এর বাড়ির কথাও উল্লেখ ছিল।
ই-মেল পাওয়ার পরই পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ও বোমা সনাক্তকরণ স্কোয়াডকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। রজনীকান্ত, ধনুষ ও কংগ্রেস নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তবে বিস্তৃত তল্লাশি শেষে পুলিশ জানায়, কোনও সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি।
রজনীকান্তের নিরাপত্তা দলও জানায়, বাড়িতে কোনও অচেনা ব্যক্তি প্রবেশ করেননি। তাঁদের মতে, এটি নিছক একটি ভুয়ো হুমকি।
চেন্নাই শহর পুলিশ ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিভাগ যৌথভাবে তদন্ত চালায়। অন্যান্য যাঁদের নাম ই-মেলে ছিল, তাঁদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। কোথাও কোনও বিস্ফোরক মেলেনি। ফলে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে এটি সাম্প্রতিক হুমকির ধারাবাহিকতায় আরেকটি মিথ্যা আতঙ্ক সৃষ্টি প্রচেষ্টা
।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ই-মেল প্রথমে ডিজিপি অফিসে পাঠানো হয় এবং পরে সেটি গ্রেটার চেন্নাই সিটি পুলিশ–এর কাছে পাঠানো হয়, যাতে লেখা ছিল যে রজনীকান্ত, ধনুষ ও কে. সেভালপেরুন্তাগাই–এর বাড়িতে বোমা রাখা হয়েছে।
এই ঘটনাটি তামিলনাড়ুর তারকা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উদ্দেশে পাঠানো ক্রমবর্ধমান ভুয়ো হুমকির অংশ বলেই মনে করছে পুলিশ। এর আগে অক্টোবরে অভিনেত্রী ত্রিশা কৃষ্ণন, রাজনীতিক ও অভিনেতা এস. ভি. শেখর–এর বাড়িতেও একই রকম হুমকি পাঠানো হয়েছিল। এমনকি সুরকার ইলাইয়ারাজার–এর টি. নগরের স্টুডিওতেও বোমা থাকার খবর ছড়ানো হয়েছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তদন্তে দেখা যায়, হুমকি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
অক্টোবরের শুরুতেও অনুরূপ একটি ঘটনা ঘটে। ৯ অক্টোবর অভিনেতা বিজয়ের বাড়িতে বোমা পুঁতে রাখার হুমকি ফোনে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত সব তদন্তেই প্রমাণিত হয়েছে, এসব হুমকি কেবলই ভুয়ো আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা, বাস্তবে এর কোনও ভিত্তি নেই।
চেন্নাইয়ে রজনীকান্ত ও ধনুষের বাড়িতে বোমা হুমকির এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, কীভাবে ভুয়ো ই-মেল ও ফোন হুমকির মাধ্যমে সমাজে আতঙ্ক তৈরি করার প্রবণতা বাড়ছে। পুলিশ প্রশাসনের দ্রুত তৎপরতায় এবার বড় কোনও বিপদ ঘটেনি, তবে এমন ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
