সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সাতের দশকের শেষ দিকে এক গুজব আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে—সেই ঘটনার কেন্দ্রে রেখা, কামাল হাসন ও তাঁর স্ত্রী বাণী গণপতি। ঘটনাস্থল - চেন্নাইয়ের নামজাদা হোটেল চোলা শেরাটন। বলিউড-দক্ষিণ মিলিয়ে এই বিতর্ক যেন এক বিস্ফোরক সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়!

 

১৯৮১ সালে ‘মিন্দুম কোকিলা’ ছবির শুটিং চলাকালীন নায়ক কামাল হাসন এবং রেখার মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে—এই নিয়ে তখন সরাসরি কিছুই শোনা যায়নি। তবে তলায় তলায় অনেক কিছু চলছিল বলেই ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে গুঞ্জন। মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাংবাদিকের স্মৃতি রোমন্থনে উঠে আসে সেই রাতের বর্ণনা। তিনি উদ্ধৃত করেন হোটেলের এক কর্মীর কথা – “সেটা ছিল ১৯৭৯ সালের এক রাত। হোটেল চোলা শেরাটনে আমি কাজে গিয়েছি। দেখি চারদিকে তোলপাড়। তখন রিসেপশনে থাকা মেয়েরা বলল, রেখা আর কমল হাসন একসঙ্গে রেখার রুমে ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করেই কামালের স্ত্রী বাণী গণপতি হাজির হন এবং প্রকাশ্যে স্বামীকে ধমক দিতে শুরু করেন!”

 

গুঞ্জন ছড়ায়—এই ঝামেলার পরই ‘মিন্দুম কোকিলা’ ছবিতে রেখাকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয় মালয়ালম অভিনেত্রী দীপা (অর্থাৎ উন্নি মেরি)-কে। কমল বা রেখা কেউই কখনও এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি। ফলে সত্যি-মিথ্যার মাঝখানে রয়ে গেছে এই কাহিনি। সেই সময় কমল হাসন ছিলেন বাণী সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে (বিয়ে ১৯৭৮)। তবে এরপর ক্রমে সারিকার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এমনকি সারিকার গর্ভধারণের কথাও শোনা যায়। ১৯৮৮ সালে বাণীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং সেই বছরই সারিকার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে—সব মিলিয়ে এক রোলার কোস্টার জীবন!

 

অন্যদিকে, এর বেশ কয়েক বছর পরে ‘সিলসিলা’ ছবির শুটিংয়ের সময় রেখা-অমিতাভের সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়া তোলপাড় হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, পর্দার রসায়ন আসলে বাস্তবের ছায়া। যদিও অমিতাভ ১৯৭৩ সালে জয়ার সঙ্গে বিয়ে করেন, রেখার উপস্থিতি তাঁদের জীবনে এক রহস্যঘেরা ছায়া ফেলেছিল বহুদিন।২০১৫ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রঞ্জিত জানান, তাঁর পরিচালনায় ‘কারনামা’ ছবির শুটিং শিডিউল বদলে দিতে হয় রেখার ব্যক্তিগত অনুরোধে—যাতে তিনি সন্ধ্যাবেলায় অমিতাভের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন! রেখা পরবর্তীকালে বিয়ে করেন শিল্পপতি মুকেশ আগরওয়ালকে। তবে সেই বিয়ে মর্মান্তিকভাবে শেষ হয় তাঁর স্বামীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।

সিনেমা নয়, এ এক জীবন্ত কাহিনি! পর্দার আড়ালে কত অজানা দৃশ্য—কতটা সত্য, কতটা গল্প? উত্তর আজও অজানা।