সংবাদসংস্থা মুম্বই: ১৯৮৯ সালে বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত ছবি ‘পরিন্দা’ জায়গা করে নিয়েছে ভারতীয় ছবির সেরা ছবির তালিকায়। ছবিতে মুখ্যচরিত্রে দেখা গিয়েছিল জ্যাকি শ্রফ, অনীল কাপুর, মাধুরী দীক্ষিত এবং নানা পটেকরকে। তবে এই ছবিকেই কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ এবং পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া! গোয়ায় ৫৫তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ‘টুয়েলভথ্ ফেল’-এর পরিচালক। সেখানেই নাসিরুদ্দিন শাহ-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রসায়নের প্রসঙ্গে এমন দাবি করে বসেন বিধু।

বিধু বিনোদ চোপড়া জানান, ‘পরিন্দা’-এ জ্যাকি শ্রফ অভিনীত চরিত্র 'কিষাণ -এর জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিল নাসির। সেই অন্যজয়ী অভিনেতার কাছে হাজিরও হয়েছিলেন তিনি। ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য শোনার পর নাসিরের পাশে উপস্থিত থাকা এক শুভাকাঙ্খী বিধুকে বলে ওঠেন, ছবিতে নাসিরের চরিত্রের বিপরীতে কোনও নায়িকা নেই অর্থাৎ ছবিতে অভিনেতার কোনও রোম্যান্টিক ব্যাপার-স্যাপার থাকবে না। জবাবে বিধু তাঁকে জানিয়েছিলেন, কিষাণ-এর চরিত্রটাই ওরকম। একটু অন্যরকম, একাচোরা। সেই শুভাকাঙ্খী ফের প্রশ্ন তোলেন, "কেন এই ছবিতে অনিল কাপুরের তো নায়িকা আছে?” কোনওরকমে বিরক্তি চেপেচুপে বিধু জবাব দেন যে গল্প অনুযায়ী প্রতিটি চরিত্রের একটি ঔচিত্যবোধ থাকে, তারা সেভাবেই এগোয়। 

এসব বলতে বলতেই রগে ফেটে পড়েন বিধু বিনোদ চোপড়া। মেজাজ হারিয়ে নাসিরের ওই  শুভাকাঙ্খীকে ধমকে উঠে বিধু নির্দেশ দেন মুখ বন্ধ রাখার। এবার মুখ খোলেন নাসির। বিধুকে বলি-অভিনেতা জানান, তাঁর শুভাকাঙ্খীর সঙ্গে ওইভাবে কথা বলতে পারেন না পরিচালক। শোনামাত্রই 'থ্রি ইডিয়টস'-এর প্রযোজকের জবাব ছিল, "আলবৎ পারি। একশোবার পারি!” ক্রমে সেই কথা গড়ায় তীব্র ঝামেলায়। নাসিরের সঙ্গে ঝামেলার সূত্রপাত সেখান থেকেই। এরপরেই নাসিরকে হঠিয়ে জ্যাকিকে ‘পরিন্দা’র প্রস্তাব দেন বিধু বিনোদ চোপড়া। কথাশেষে যদিও হাসতে হাসতে বিধু জানিয়েছেন নাসিরের সঙ্গে পরে তাঁর মিটমাট হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ‘মাসুম’-এর নায়কের।