নিজস্ব সংবাদদাতা: সুরেলা গলায়, নিটোল উচ্চারণে যিনি ভরা সাংবাদিক সম্মেলনে খোশমেজাজে  “তোমাতে আমাতে দেখা হয়েছিল, জানি না কবে কোথায়...” গেয়ে উঠলেন প্রথমত তিনি বাঙালি নন, মালয়ালি। দ্বিতীয়ত, হিন্দি ছবির প্রথম সারির অভিনেত্রী। নাম, বিদ্যা বালন। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এই গোটা বৈঠক জুড়েই বেশ ঝলমলে মেজাজেই পাওয়া গেল তাঁকে। নানা রঙের কথা বলার ফাঁকে তিনি জানান এইমুহূর্তে কোনও ছবি অথবা ওটিটি সিরিজে তিনি কাজ করছেন না। বরং বেশ কিছু চিত্রনাট্য খুঁটিয়ে পড়ছেন। বাংলার কোন কোন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে -প্রশ্নের জবাবে খানিক গম্ভীর মুখে বলে উঠলেন "মানিকদার সঙ্গে কাজ করতে চাই। কিন্তু সেটা তো আর হবে না!” বলেই তাঁর সেই বিখ্যাত অট্টহাসি হেসে উঠলেন। তাতে যোগ দিলেন বাকিরাও। 

 

জানালেন, ২০ বছর আগে এই কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে থালিগার্ল হওয়ার অভিজ্ঞতা! আরও জানালেন, সেবারে ঘুরে ঘুরে উৎসবে আসা সবকটি ছবি দেখেছিলেন তিনি। বাঙালিদের এত ভালবাসেন, বাংলা পছন্দ করেন তাহলে বাংলা ছবিতে কবে দেখা যাবে বিদ্যাকে? অভিনেত্রীর ঝটিতি জবাব, “আরে, আমি তো করতেই চাই। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও এখানকার পরিচালকেরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন কিন্তু কেউ আমাকে এখন আর ডাকেন না! কৌতুকধর্মী ছবি করার খুব শখ। সেটাও পাচ্ছি না। করোনা-পর্বের পর থেকেই একটু হালকা মেজাজের ছবি করার খুব ইচ্ছে রয়েছে আমার।”

 


নিজের অভিনয়  নিয়েও সোজাসাপ্টা ধারণা তাঁর। সেইজন্যেই হয়তো অক্লেশে বলে ওঠেন, "মেথড অ্যাক্টিং কী আমি এখনও জানি না। আমার তথাকথিত কোনও অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেই। চিত্রনাট্য মন দিয়ে পড়ি। সেখান থেকে চরিত্রটার একটা প্রাথমিক ধারণা তো এসেই। তারপর ঘন ঘন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলি, আড্ডা দিই ওই চরিত্রটিকে নিয়ে। পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে নিজের ভাবনা আরও স্বচ্ছ হয়। ব্যস!" শহর থেকে হলুদ ট্যাক্সি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে শুনে নিমেষে মনখারাপ হয়ে যায় বিদ্যার। আক্ষেপের সুরে বলে ওঠেন, “কলকাতায় এসে হলুদ ট্যাক্সি দেখতে পাব না, এটা ভাবাই যায় না। শুনেই মনখারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই তো সেদিনও 'ভুলভুলাইয়া ৩'-এর প্রচারে এসে খালি পায়ে ট্যাক্সির উপর দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। ময়দানের ওখানে ট্রামে করে ঘোরা...এগুলোই তো কলকাতার অবিচ্ছেদ্য অংশ।”