২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি মাসে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন এষা ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী। সম্প্রতি মেঘনা লখানির সঙ্গে নতুন সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেছেন ভরত।মেঘনা পেশায় উদ্যোগপতি। ২০১৯ সালে তৈরি হওয়া আরবের একটি সংস্থার মালকিন তিনি। উচ্চমানের টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন করে এই সংস্থা।
একসময় বলিউডের অন্যতম চর্চিত দম্পতি ছিলেন এষা দেওল আর ভারত তখতানী। ২০১২ সালে বিয়ে, হেমা মালিনী আর ধর্মেন্দ্রর কন্যার বিয়ে ছিল যেন রূপকথার রাজকীয় আয়োজন। তবে সেই সম্পর্ক টিকল মাত্র ১১ বছর। ২০২৪ সালে দু’জনেই যৌথ বিবৃতিতে জানালেন, তাঁদের বিবাহিত জীবনের ইতি টানা হচ্ছে— “পারস্পরিক ও শান্তিপূর্ণ সিদ্ধান্তে আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এষা তাঁর বই ‘আম্মা মিয়া’-তে খোলাখুলি লিখেছিলেন বিয়ের পর জীবনে আসা বদলের কথা। তখতানী পরিবারে পা দিয়েই পেয়েছিলেন বিপুল সাংস্কৃতিক ধাক্কা। আগে যেমন শর্টস, ছোট প্যান্ট আর গেঞ্জি পরে বাড়ির মধ্যে ঘুরতেন, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে তা আর সম্ভব হয়নি। তবে শ্বশুরবাড়ির মানুষজনের স্নেহ আর আদরেই সে শূন্যতা ভরাট হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে শাশুড়ির প্রশংসা করে এষা লিখেছিলেন, “কখনও আমাকে রান্নাঘরে যেতে বলেননি, বা সেই সব প্রথাগত কাজ করতে চাপ দেননি যেগুলো তাঁকেই এক সময় করতে হয়েছিল।”

দুই মেয়েকে কেন্দ্র করে নতুন জীবন শুরু এষার। এই দম্পতির দুই কন্যা—রাধ্যা ও মিরায়া। বিচ্ছেদের পরও সন্তানদের কল্যাণকেই জীবনের মূল কেন্দ্র করে রেখেছেন এষা ও ভরত। তাঁদের বিবৃতিতেও স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, দুই মেয়ের ভাল থাকাটাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য । বিচ্ছেদের পর এষা একান্তে থেকে কাজ ও মেয়েদের প্রতি মন দিয়েছেন। অন্যদিকে, কিছু দিন আগেই ইউরোপে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল ভরত ও মেঘনাকে। ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছিল, ভরতের বাহুডোরে ধরা দিয়েছেন মেঘনা। সেই ছবিই ভাগ করে নিয়ে মেঘনা তাঁর সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, “এখান থেকেই সফর শুরু।” অর্থ পরিষ্কার - জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত ভরত।
রাজকীয় বিয়ে, ভালবাসার বছরগুলো আর অবশেষে শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদ—এষা-ভারতের সম্পর্কের গল্প যেন এক বলিউডি চিত্রনাট্যের মতোই রঙিন, আবার খানিকটা বিষাদময়ও।
প্রসঙ্গত, বরাবরই সোজাসাপটা অভিনেত্রী এষা দেওল। মিষ্টি প্রেমের ছবিতে লাস্যময়ী নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তবে কিন্তু পুরো বিপরীত তিনি। বেশ 'টম বয়' গোছের নারী বলা যেতে পারে তাঁকে। এ হেন দৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এষাও যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। ভিড়ের মধ্যে, দেহরক্ষীদের টপকে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিল এক ব্যক্তি!সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখেই এই ঘটনার কথা জানালেন এষা। সেটা ২০০৫ সাল। 'দশ' ছবির প্রচার সারার জন্য পুণে গিয়েছেন তিনি। সেখানেই প্রচার সারাকালীন ভিড়ের মধ্যে এই কাণ্ড ঘটায় এক ব্যক্তি! অভিনেত্রীর কথায়, " ছবির কলাকুশলীরা একে একে মঞ্চে উঠছিলেন। আমি ওঁদের পিছনে ছিলাম। আমাকে ভিড়ের হাত থেকে বাঁচাতে নিরাপত্তারক্ষীরাও ছিলেন। তবু তার মধ্যে টের পেলাম কেউ আমাকে নোংরাভাবে স্পর্শ করল। টের পাওয়ামাত্রই ঘাড় ঘুরিয়ে ফেললাম। পেয়েও গেলাম যে কুকর্মটা করেছিল। ভিড়ের মধ্যে থেকেই তার জামার কলার ধরে হিড়হিড় করে টেনে চড় থাপ্পড় মারা শুরু করেছিলাম!"
