মুম্বইয়ের ব্যস্ত শহরে যেখানে জায়গা কম, সেখানেই আরও একবার গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেন আলিয়া ভাট। সম্প্রতি তাঁর বান্দ্রার বিলাসবহুল নতুন বাড়ি—যেটি এখনও নির্মীয়মাণ—সেই বাড়ির ভেতরের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে দিল একাধিক প্রকাশনা ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। আর তাতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
আলিয়া বললেন-“আমি বুঝি মুম্বই শহরে জায়গা কম, অনেক সময়েই এক বাড়ির জানলা থেকে আরেকজনের বাড়ি দেখা যায়। কিন্তু তাই বলে কারও ব্যক্তিগত জায়গার ভিডিও তুলে সেটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো—এর কোনও অধিকার কারও নেই। আমাদের নতুন বাড়ির ভিডিও—যেটি এখনও তৈরি হচ্ছে—গোপনে তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি শুধুই গোপনীয়তা ভঙ্গ নয়, বরং নিরাপত্তার বড়সড় হুমকিও।”
তিনি আরও বলেন, “কারও ব্যক্তিগত জায়গার ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়া তোলা কখনও কনটেন্ট হতে পারে না। এটা স্পষ্টতই বেআইনি কাজ। ভাবুন তো, যদি আপনাদের বাড়ির ভেতরের ভিডিও কারও অজান্তে অনলাইনে ঘুরে বেড়াত, কেমন লাগত?”
সেই সঙ্গে অভিনেত্রীর অনুরোধ, “যদি এ ধরনের কনটেন্ট চোখে পড়ে, দয়া করে ফরওয়ার্ড বা শেয়ার করবেন না। আর যাঁরা মিডিয়ায় এইসব ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করেছেন, তাঁদের কাছে বিনীত কিন্তু দৃঢ় অনুরোধ—অবিলম্বে এগুলো মুছে ফেলুন।”
আলিয়ার পোস্ট ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন আইনি পথে এগোতে। এক নেটিজেন লিখেছেন, “এমনটা আগেও একবার ঘটেছিল। এবার কড়া মামলা করুন, তবেই ভবিষ্যতে এরা শিক্ষা পাবে।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “সম্মতি ছাড়া এমন ভিডিও করা আইনত অপরাধ হওয়া উচিত। গোপনীয়তা মানে গোপনীয়তা—তারকা হোন বা সাধারণ মানুষ, সবারই প্রাইভেসি সম্মান করা জরুরি।”
