সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিপাড়ার অন্যতম ফিট নায়ক তিনি। পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেললেও তাঁর দেহসৌষ্ঠব, ফিটনেস পাল্লা দেবে নয়া প্রজন্মের নায়কদের সঙ্গে। তিনি, সোনু সুদ। সুস্থ জীবনযাপনের সঙ্গে শরীরচর্চার প্রতি কঠোর নিয়মানুবর্তিতা-এই দুই ব্যাপার বলিপাড়ায় তাঁর সমসমায়িক বহু অভিনেতাদের থেকে আলাদা করে রেখেছে তাঁকে। খাদ্যাভ্যাসের দিক থেকে সোনু পুরোপুরি নিরামিষাশী। ছুঁয়ে দেখেন না মদ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, কীভাবে তাঁকে একবার মদ খাওয়াতে বদ্ধপরিকর ছিলেন সলমন খান! সোনুর চোখের আড়ালে নরম পানীয়র সঙ্গে মদ মিশিয়ে দিয়েছিলেন 'চুলবুল পাণ্ডে'। তারপর?

 

সোনু বলেন, "আমি মদের থেকে শতহস্ত দূরে থাকি। আজ পর্যন্ত বহু সহ-অভিনেতা চেষ্টা করেছেন আমাকে সুরা পান করানোর। তাঁদের মনোভাব এমন থাকে, 'ওকে তো আজ মদ খাইয়েই ছাড়াব' কিন্তু তাঁদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।" 

 

এরপরেই সলমনকে নিয়ে এক মজার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন এই অভিনেতা। "সলমন ভাই-ও তো একবার এই কাণ্ড করেছিল। আমার চোখের আড়ালে নরম পানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল মদ। তারপর আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল সেই গ্লাস। আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে ভাই কিন্ত ঠিক নজরে রেখেছিল আমি পানীয়তে চুমুক দিলাম না কি অন্য কারও হাতে সেই গ্লাস চালান করে দিলাম। কোনওটাই করিনি। শেষমেশ সেই পানীয়র গ্লাস আমি ফেরৎ দিয়ে দিয়েছিলাম। আসলে, যাঁরা মদ্যপান করেন তাঁদের সাধারণত অভ্যাস থাকে অন্যদেরকেও সেই ব্যাপারে সামিল করার।" সেই সাক্ষাৎকার এই শোনো আরো জানিয়েছেন যে তার প্রতিদিনের ডায়েট যারপরনাই বোরিং। রুটি খাওয়া পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। দুপুরে সামান্য ডাল-ভাত খান। এছাড়া কুসুম ছাড়া ডিমের ওমলেট, মরশুমি ফল, সেদ্ধ সব্জি, পেঁপে থাকে তাঁর ডায়েটে।

 

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে তিলোত্তমার বুকে তাঁর এই আসন্ন ফিল্ম ‘ফতেহ’-এর প্রচার সারতে এসেছিলেন তিনি ৷ হাওড়া ব্রিজের নীচে ভক্তদের সঙ্গে নিজস্বী, বাসে ও হলুদ ট্যাক্সিতে চড়ে শহর ঘোরা কোনও কিছুই বাদ গেল না তাঁর ঝটিকা সফরে। এদিন কলকাতার ঐতিহ্য কফি হাউজেও যেতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁকে দেখে ভক্তদের উপচে ভিড়ের মাঝে যেন আরও নজরকাড়া সোনু। আগামী ১০ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘ফতেহ’। ছবিতে সোনু সুদ ছাড়াও অভিনয় করেছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, বিজয় রাজ, নাসিরুদ্দিন শাহ এবং দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য।