সংবাদ সংস্থা মুম্বই: মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রয়েছেন সইফ আলি খান। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি বিপদসীমার বাইরে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। আর সইফ, তিনি নিজে কী বলছেন? জাতীয় স্তরের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, তারা কথা বলেছেন পতৌদির 'নবাব'-এর সঙ্গে। তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সইফ বলেছেন, "আগের থেকে এখন অনেকটাই ভাল আছি।"
বলি-তারকার শারীরিক অবস্থার উপর এইমুহুর্তে খুঁটিয়ে নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘আইসিইউ থেকে বার করা হলেও এখনও বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ ওঁর মেরুদণ্ডে আঘাত লেগেছিল। সেখান থেকে বেশ খানিকটা সেরিব্রোস্পাইনাল তরল ক্ষরণ হওয়ায়, ক্ষতস্থানে ঘা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যাচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “তাই এখনও ওঁকে অনেকটা বিশ্রাম নিতে হবে। পাশাপাশি কিছুদিনওঁর হাঁটাচলাও বন্ধ রাখা হয়েছে। তাতে উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’’
সইফ হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন, সে প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানানো হয়নি চিকিৎসকদের তরফে। খবর, চলতি সপ্তাহেই হাসপাতাল থেকে ছুটি পেতে পারেন সইফ। তবে ছুটির পর তিনি এবং তাঁর পরিবার কোথায় থাকবেন তা এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, সইফ-করিনা নিজেদের দুই সন্তানকে নিয়ে পতৌদি প্যালেসে গিয়ে আগামী কয়েক মাস থাকবেন। থাকবেন, তারকার মা শর্মিলা ঠাকুরও। ইতিমধ্যেই সেই জায়গাও নাকি মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। আহত বলি-তারকা ও তাঁর পরিবারের জন্য নিরাপত্তারক্ষী থেকে দেহরক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তবে আগামী কয়েক মাস যে পতৌদি পরিবারের জন্য কঠিন হতে চলেছে, সেকথা বলাই বাহুল্য।
বুধবার নিজের ঘরেই, এলোপাথাড়ি ছুরি চলে বলি-তারকা, নবাব পুত্র সইফ আলি খানের উপর। শড়িরে ছ'টি ক্ষত, তারমধ্যে দুটি বেশ গভীর। চিকিৎসকরা প্রথম দিনেই জানিয়েছিলেন, অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন, না হলে ঘটতে পারত আরও বড় কিছু। লীলাবতীতে বুধবার রাত থেকেই চিকিৎসারত সইফ।
