নিজস্ব সংবাদদাতা: জন্মদিনে শুটিং না থাকলেও স্টুডিওতে হাজির অভিনেতা জিতু কমল, কারণ প্রিয় অনুরাগীদের সঙ্গে জন্মদিনের কিছুটা সময় ভাগ করে নেওয়া। যদিও দর্শকদের অনুরাগী বলতে নারাজ জিতু, এদিন স্টুডিওতে তাঁকে ঘিরে থাকলেন অনুরাগীরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজের হাতে রান্না করে খাবার খাওয়ালেন অডিয়েন্স স্টার জিতু কমলকে। শুধু তাই নয়, গোলাপ ফুল থেকে শুরু করে জিতুর নামে ঠাকুরের কাছে পুজো দেওয়া ফুল, কবিতা, নানান ধরনের উপহার - সব মিলিয়ে বিশেষ আয়োজন করা হল বার্থডে বয় এর জন্য। সবার সঙ্গে বসে একসঙ্গে জন্মদিনে খাবার খেলেন জিতু। প্রায় ১৯ রকম পদ এদিন রান্না করে আনা হয় 'অডিয়েন্স স্টার' জিতু কমলের জন্য।
তবে এদিন স্টুডিওতে সেটের বাইরে জিতুর জন্মদিন উদযাপনের সময় অনুরাগীরা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না তাঁর কোনও সহকর্মী। যদিও জিতু ভেবেছিলেন ধারাবাহিকের কলাকুশলী ভাইদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে এদিন খাবার খাবেন, তবে অনেকটা দেরি হয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের হাতে গোনা ১-২ জন ছাড়া কাউকেই তেমনভাবে দেখা যায়নি। স্টুডিওতে কোন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর জন্মদিন উদযাপন হলে সব সময় তার সহশিল্পীরা পাশেই থাকেন, অন্তত একবার এসে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে যান। কিন্তু এদিন অনেককেই দেখা গেল পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যেতে। যেন ধারাবাহিকের আর্য সিংহ রায় নয়, জন্মদিন উদযাপন হচ্ছে অন্য কোনও মানুষের। বিষয়টা বেশ চোখে লাগার মতই।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
যেখানে জিতুর জন্মদিন উদযাপন হয় তার পাশেই চলছিল ধারাবাহিকের আউটডোর শুটিং, দেখা গেল অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় কেও। তবে বিগত কয়েকদিনে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে এই জন্মদিন উদযাপনে যে অভিনেত্রী আসবেন না তা অনেকেই জানতেন। কিন্তু শুধু অভিনেত্রী নন ধারাবাহিকের অন্যান্য শিল্পীদেরও দেখা গেল না একবারের জন্যও। তবে শুধুমাত্র তাঁর প্রিয় অনুরাগীদের ভালবাসাতেই সন্তুষ্ট অভিনেতা জিতু কমল।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
এদিন এত ভালবাসা পেয়ে আর যেন কিছুই চাইতে পারলেন না জিতু কমল। জিতু জানান, তাঁর কাছে দর্শকদের ভালবাসাটাই আসল। তিনি মনে করেন যে তিনি যা কর্ম করছেন তার ফল তিনি ঠিকই পাবেন। এবং তাঁর কর্মের ফল এই অসংখ্য মানুষের ভালবাসা। জন্মদিনের সব খারাপ লাগা এবং বিতর্ক থেকে একদম দূরে থাকতে চান তিনি। জিতু জানালেন, আসলে তাঁর মনের বয়স এখনও কম। ছোটবেলায় জন্মদিন যেভাবে কেটেছে বা পরবর্তী সময়ে যেভাবে দিন কাটিয়েছেন। তার কোনও কিছুই এখন আর মিস করেন না তিনি। কারণ তিনি এখন যা পাচ্ছেন সেটাই তাঁর পাওয়ার কথা ছিল না। যা আছে তা যেমন ভালর জন্য আছে, তেমনই যা ছিল কিন্তু আজ আর নেই সেটাও ভালর জন্যই।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
অভিনেতা এও জানান, জীবনে তাঁর বিশেষ কোনও আক্ষেপ নেই, কারণ তিনি যা পেয়েছেন, বিশেষ করে যে নিঃস্বার্থ ভালবাসা পেয়েছেন সেটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে দামি উপহার। এদিন স্টুডিওতে গাড়ি থেকে নামতেই যেভাবে জিতুকে অনুরাগীরা জড়িয়ে ধরেন, তাঁর নামে পুজো দেওয়া ফুল তার মাথায় ছুঁয়ে দেন, তাঁকে পায়েস খাইয়ে দেন, এই ভালবাসা পাওয়া সত্যিই কঠিন। জিতু মহাদেবের ভক্ত। সেই কারণে তার জন্য মহাদেবের একটি বিশেষ ছবি বানিয়ে নিয়ে আসেন অনুরাগীরা, যা দেখে কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে যান অভিনেতা এবং জানান এত কিছু আয়োজন দেখে তিনি সত্যিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন। তবে জিতুর কথায়, “আমি আবেগ বাইরে দেখাতে চাই না, কারণ আবেগের দাম মানুষ দেন না। আমার কাছে আমার আবেগ বড্ড দামি, তাই তা মানুষকে না দেখানোই ভাল।”
