মুম্বইয়ের রেড কার্পেটে হঠাৎই এক চরম অপ্রত্যাশিত দৃশ্য! বিচ্ছেদ হওয়ার বহুদিন পর প্রাক্তন প্রেমিক যুগল অর্জুন কাপুর এবং মালাইকা অরোরা প্রকাশ্যে এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন 'হোমবাউণ্ড' ছবির প্রিমিয়ারে। তবে আসল চমকটা কিন্তু লুকিয়ে ছিল তাঁদের আচরণে—মঞ্চের মাঝেই একে অপরকে উষ্ণ আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে মিষ্টি হাসিতে অভিবাদন জানালেন তাঁরা।
'হোমবাউণ্ড'-এর প্রিমিয়ারে তারকাদের ভিড় ছিল দেখার মত। গত সোমবার মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত 'হোমবাউণ্ড'–এর বিশেষ প্রদর্শনীতে হাজির ছিলেন ছবির মুখ্য অভিনেতা ইশান খট্টর, জাহ্নবী কাপুর এবং বিশাল জেঠওয়া। বোন জাহ্নবীকে সমর্থন জানাতেই এই প্রর্দশনীতে উপস্থিত হন অর্জুন কাপুর। অন্যদিকে, ঝলমলে এই সন্ধ্যায় অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন মালাইকা অরোরাও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া অসংখ্য ভিডিওর মধ্যে এখন সবচেয়ে নজর কেড়েছে একটাই—অর্জুন–মালাইকার পুনর্মিলন। ভিডিওতে দেখা যায়, অতিথিদের সঙ্গে গল্পে মশগুল অর্জুন। তখনই লালগালিচা পার হয়ে এগিয়ে আসেন মালাইকা। সামনে যেতেই দু'জনের চোখাচোখি হয়। আর তারপরেই পরস্পর পরস্পরকে এক লহমায় জড়িয়ে ধরেন। গলায় গলা মেলে, ধরা পড়ে তাঁদের সৌহার্দ্যের উষ্ণ ছবি। পরে পরিচালক নীরজ ঘেওয়ান এসে তাঁদের সঙ্গে আলাপ জমান।

সেই মুহূর্তের ভিডিও দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া চোখে পড়ার মত। কেউ লিখেছেন— “প্রাক্তনের সঙ্গে দেখা সবসময়ই অস্বস্তিকর। কিন্তু ওরা একেবারেই স্বাভাবিক লাগছিল।”
আবার কারও মত—“ স্রেফ একটা আলিঙ্গন, তার মাধ্যমেই যা অনেক কিছু বলে গেলেন অর্জুন ও মালাইকা।”
আরও এক নেট ব্যবহারকারীর মন্তব্য, “প্রাক্তন হলেও বন্ধু থাকা যায়! মালাইকা-অর্জুনের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্কের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।”
২০১৮ সালে ডেটিং শুরু করেন মালাইকা ও অর্জুন। প্রথমদিকে তাঁদের এই সম্পর্ক গোপন রাখলেও ধীরে ধীরে ছুটির দিনের ছবি ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিয়ে প্রেমকে প্রকাশ্যে আনেন তাঁরা। তবে গত বছর অক্টোবরে মুম্বইয়ের এক অনুষ্ঠানে অর্জুন নিজেই জানান, তিনি বর্তমানে ‘সিঙ্গল’। দর্শকরা মালাইকার নাম চিৎকার করে উঠতেই তিনি বলেন, “নাহ্, আমি এখন সিঙ্গল। তোমরা একটু রিল্যাক্স কর।”
এরপরই এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মালাইকা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমি খুব ব্যক্তিগত মানুষ। জীবনের কিছু দিক নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাই না। অর্জুন যা বলেছেন, সেটা ওর ব্যাপার। তবে এটুকু বলব, এই বছরটা নানান কারণে আমার কাছে ভীষণ কঠিন ছিল।”
প্রাক্তনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেও যে সৌহার্দ্যের সেতু গড়ে তোলা যায়, মুম্বইয়ের এই এক সন্ধ্যা যেন তারই সাক্ষী হয়ে রইল।
