সম্প্রতি গুরুতর শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁকে রাখা হয় ভেন্টিলেটরে। অবশেষে ১২ নভেম্বর, বুধবার তিনি ছাড়া পেলেন হাসপাতাল থেকে। বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পর্দার 'বীরু'কে। এরপরই তাঁকে দেখতে এলেন অমিতাভ বচ্চন। 

বুধবার বিকেলে ধর্মেন্দ্রকে বাড়িতে দেখতে আসেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি নিজে গাড়ি চালিয়ে আসেন বর্ষীয়ান অভিনেতার বাড়ি। তাঁর পরনে ছিল নীল রঙের একটি জ্যাকেট। মাথায় সাদা টুপি, এবং চোখে রোদচশমা ছিল। 
'শোলে' ছবিতে তাঁদের জুটি আজও, পঞ্চাশ বছর পরেও সমান হিট। আর সেই ছবির 'বীরু' এত বড় ফাঁড়া কাটিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন তাঁকে 'জয়' দেখতে আসবে না তাই কখনও হয়! 

প্রসঙ্গত গত ১০ নভেম্বর, সোমবার রাতে ধর্মেন্দ্রকে দেখতে হাসপাতালে একে একে আসেন শাহরুখ খান, আরিয়ান খান, সলমন খান, গোবিন্দা, প্রমুখ। অন্যদিকে ধর্মেন্দ্রর বাড়ির সামনে ব্যারিকেড লাগিয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে মিশিয়ে রটে যায় অভিনেতার ভুয়ো মৃত্যু খবর। পরদিন সকালেও এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। স্বাভাবিক বিষয়ে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় তাঁর পরিবার। এষা দেওল এবং হেমা মালিনী বিবৃতি জারি করে জানান যেটা রটেছে সেই খবর সম্পূর্ণ ভুল। হেমা মালিনী লেখেন, 'যেটা ঘটছে যে ক্ষমার অযোগ্য। সংবাদমাধ্যম কীভাবে এভাবে ভুয়ো খবর ছড়াতে পারে তাও এমন একজনকে নিয়ে যিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন? এটা অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ। পরিবারকে সম্মান দিন। আমাদের প্রাইভেসি দিন।' অন্যদিকে এষা লেখেন, 'সংবাদমাধ্যম বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে, ভুল খবর ছড়াচ্ছে। আমার বাবা স্থিতিশীল রয়েছেন, সেরে উঠছেন ধীরে ধীরে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি আমাদের পরিবারকে এই সময় প্রাইভেসি দেওয়ার জন্য। আপনাদের সকলের প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ। বাবা সেরে উঠছেন।' 

এরপরই বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ধর্মেন্দ্র। তিনি ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। ধর্মেন্দ্র ছয় দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন পাঞ্জাবের মনসপুত্র। উপহার দিয়েছেন শোলে (১৯৭৫), চুপকে চুপকে (১৯৭৫), ইঁয়াদো কি বারাত (১৯৭৩), ইত্যাদির মতো ছবি। কাজ করেছেন রকি অর রানি কী প্রেম কাহানি, ইক্কিস এর মতো ছবিতেও। যদিও ইক্কিস এখনও মুক্তি পায়নি। আগামী ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পাবে সেই ছবি।