সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ব্যস্ত রুটিনেও নিজেকে ফিট রেখেছেন ৮০ পেরোনো অমিতাভ বচ্চন। বৃদ্ধ বয়সে অত্যধিক পরিশ্রম, ধকল আর শরীর নিতে পারে না। কিন্তু এই বয়সেও দিন-রাত জেগে কাজ করছেন অভিনেতা। জবাব হল কড়া ডায়েট, স্বল্প আহার এবং নিয়ম করে প্রতিদিন যোগ ব্যায়াম। চেহারায় এতটুকু ক্লান্তির ছাপ ধরা পড়ে না 'শাহেনশাহ'র। সব সময়েই যেন তরতাজা মনে হয় তাঁকে। অশীতিপর বৃদ্ধ বলতে যে ছবি চোখে ভেসে ওঠে তার থেকে প্রায় বিপরীত অমিতাভের অবয়ব। বয়সের তুলনায় এখনও প্রায় টান টান সুঠাম শরীর ধরে রাখতে পেরেছেন অমিতাভ। তবে এই যোগ ব্যায়াম কিন্তু বহু বছর ধরেই করছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। আটের দশকে অমিতাভের বিখ্যাত 'কুলি' ছবির সেই বিখ্যাত 'ব্রেকফাস্ট আসন' দৃশ্যের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? সেই সময়ে চল্লিশের কোঠায় ঘোরাফেরা করা অমিতাভ কীভাবে ত্রিকোণাসন, শীর্ষাসনের মতো কঠিন যোগব্যায়াম অনায়াসে করতে পেরেছিলেন?
কৌন বনেগা ক্রোড়পতি র একটি পর্বে এই দৃশ্যের নেপথ্যে থাকা রহস্য নিজেই ফাঁস করেছিলেন 'বিগ বি'। সামনে তখন বসে রীতেশ দেশমুখ এবং জেনেলিয়া ডি'সুজা। সেখানেই 'কুলি' ছবির এই দৃশ্যের কথা উঠতেই অমিতাভ জানান, তাঁর পক্ষে ঐসব দুরূহ আসন করা সম্ভব ছিল না তখনও। সেকথা পরিচালক মনমোহন দেশাইকে তিনি জানিয়েওছিলেন। এও জানিয়েছিলেন, কেন এসব দৃশ্য ছবিতে রাখা হচ্ছে তিনি নিজেই বুঝতে পারছেন না। তবে মনমোহন ধমক দিয়ে অমিতাভকে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই কঠিনযোগব্যায়ামগুলো শেষমেশ করলেন কী করে বিগ বি? অমিতাভের সহাস্যে জবাব ছিল -"আরে, পাগল নাকি? ওইসব যোগব্যায়াম অন্য একজন করেছিলেন। আমার পক্ষে থোড়াই এসব করা সম্ভব! অন্যের পা আমি গলায় পেঁচিয়ে রেখেছিলাম। পিছন থেকে সেই ব্যক্তি তাঁর দু’টি পা আমার ঘাড়-গলায় পেঁচিয়ে রেখেছিলেন। ক্যামেরাও কায়দা করে ধরা হয়েছিল। ওদিকে, আমি মুখেচোখে এমন অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলেছিলাম যে কারও তা বোঝার উপায় ছিল না যে সেই দু'টি পা আমার নয়!”
