এক মাসেই টানা ধাক্কা খেলেন ধর্মেন্দ্র ও ‘শোলে’ ছবির অনুরাগীরা। ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন বলিউডের চির সবুজ নায়ক ‘বীরু’-যাঁর চলে যাওয়া গোটা দেশজুড়েই শূন্যতা তৈরি করেছে। সোমবার সম্পন্ন হয়েছে তাঁর শেষকৃত্য। আর ঠিক তার মধ্যেই সামনে এল আরও একটি মনখারাপের খবর।

 

খবর, বহুল প্রতীক্ষিত ৪কে রিমাস্টার্ড ‘শোলে’-র ঝকঝকে সংস্করণটির বিশেষ প্রদর্শনী ৫৬তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া (IFFI)–তে আর হচ্ছে না। অর্থাৎ, গোয়ায় বসে বড় পর্দায় নতুন রূপে শোলে দেখার স্বপ্ন আপাতত ভাঙল।

 

কেন বাতিল হল এই প্রদর্শনী? একটি সূত্রের দাবি, “প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই নির্মাতাদের দিক থেকে এই প্রদর্শনী সম্ভব হয়নি।” অর্থাৎ, আয়োজনের ইচ্ছা থাকলেও শেষ মুহূর্তে টেকনিক্যাল গ্লিচ সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয়। এই বিশেষ প্রদর্শনীর লাল গালিচায় হাঁটার কথা ছিল পরিচালক রমেশ সিপ্পি এবং ছবির প্রধান অভিনেত্রী হেমা মালিনী–র। যদিও গত এক সপ্তাহ ধরে ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, এই অনুষ্ঠানে হেমা মালিনীর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছিল।

 

১৯৭৫ সালের কালজয়ী এই ছবির ৪কে রিমাস্টার্ড সংস্করণ চলতি বছর প্রথমবার প্রদর্শিত হয়েছিল টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল–এ। সেখানে ধর্মেন্দ্রর হয়ে প্রতিনিধি হিসেবে লাল গালিচায় হাঁটেন তাঁর ছেলে ববি দেওল। সেই সময় থেকেই ভারতের প্রেক্ষাগৃহে কবে ও কীভাবে এই সংস্করণ দেখা যাবে, তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে ছিল।

 

বিশেষ করে এই সংস্করণটি নিয়ে আলাদা উত্তেজনার কারণ ছিল একটাই- রমেশ সিপ্পির শুট করা আসল ক্লাইম্যাক্স, যা ৫০ বছর পর দর্শক দেখতে পারবেন।

 

গোয়ায় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এই ছবির ঘোষণা তাই সিনেপ্রেমীদের জন্য স্বস্তির খবর ছিল। কিন্তু গালা স্ক্রিনিং বাতিল হওয়ায় অপেক্ষা আরও বাড়ল।
তবে পুরোপুরি হতাশ হওয়ার কারণ নেই। সূত্র জানাচ্ছে, ১২ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ৪কে রিমাস্টার্ড ‘শোলে’। সেদিনই প্রথমবার ভারতীয় দর্শক বড় পর্দায় পাবেন ছবির ঝকঝকে নতুন রূপ।

 

এদিকে, এই চলচ্চিত্র উৎসবেই নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে পরিচালক রমেশ সিপ্পি-র মাস্টারক্লাস সেশন, যেখানে তিনি তাঁর এই কালজয়ী ছবির ৫০ বছরের যাত্রা নিয়ে কথা বলবেন। ধর্মেন্দ্র চলে গেলেও, শোলে এখনও অপেক্ষায় আর বীরুর যে চিরকালই ফিরে আসবে এই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দার আলোয়।