সংবাদ সংস্থা মুম্বই: সংবাদমাধ্যম ও পাপারাজ্জিদের উপর মেজাজ হারালেন করিনা। সইফ-কাণ্ডের পর থেকে তাঁর বাড়ি ও লীলাবতী হাসপাতালের উপর অষ্টপ্রহর ভিড় করে রয়েছে পাপারাজ্জির দল। সামান্য খড়কুটো নড়লেও মুহূর্তে জ্বলে উঠছে ফ্ল্যাশবাল্ব। সদ্য সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে কোরিনাদের আবাসনে দুই ব্যক্তি দু'টি বড় খেলনা নিয়ে ঢুকছে। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে “তৈমুর এবং জেহ-র জন্য নয়া সব খেলনা এল” এবং তা দেখেই মেজাজ হারান সইফ-পত্নী।
সেই পোস্টটির স্ক্রিনশট নিয়ে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করে করিনা লেখেন, “এবার বন্ধ করুন এসব। বিবেক বলে কিছু নেই? ঈশ্বরের দোহাই, আমাদের একা ছেড়ে দিন।” এর সঙ্গে দু'টি হাত জোড় করা ইমোজিও জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে খানিক পরেই সেই স্টোরি ইনস্টাগ্রাম থেকে মুছে ফেলেছেন তিনি।
 
 প্রসঙ্গত, সইফের উপর হামলার পর হাসপাতালে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল করিনাকে। সইফের অবস্থা একটু স্থিতিশীল হলে সমাজমাধ্যমে প্রথমবার মুখ খুলে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, "এই ঘটনা আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত। কীভাবে দিনটা কেটেছে আমরাই জানি। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না, পুরো বিষয়টা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমি অনুরোধ করব, যাতে সবাই একটু সংবেদনশীল হন।" করিনা আরও লিখেছিলেন, "যেভাবে নানা খবর ছড়িয়ে পড়ছে, তা একেবারেই কাম্য নয়। এতে আমাদের পরিবারে বিপদের ঝুঁকি আরও বাড়ছে। তাই সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে আমাদের পরিবারের সম্মান বজায় রাখুন।"
 
 গত বুধবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতেই হামলা হয় নবাব পুত্র সইফ আলি খানের উপর। শরীরে ছ'টি ক্ষত, তারমধ্যে দু'টি বেশ গভীর। চিকিৎসকরা প্রথম দিনেই জানিয়েছিলেন, অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন, না হলে ঘটতে পারত আরও বড় কিছু। লীলাবতী হাসপাতালে ওই রাত থেকেই চিকিৎসারত সইফ। তাঁকে ইতিমধ্যেই আইসিইউ থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন এবং স্বাভাবিক ভাবে খাওয়াদাওয়া শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে। উল্লেখ্য, সইফ-কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্তকে রবিবার-ই গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বই পুলিশ। হামলার প্রায় ৭০ ঘণ্টার মাথায় মুম্বই পুলিশ তার নাগাল পায়। জানা গিয়েছে ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি। নাম, মোহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ।
