দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বর্তমানে প্রেমিকা গৌরী স্প্যাটকে নিয়ে ভালই সময় কাটছে আমির খানের।‌ এবারের প্রেম নিয়ে খুল্লাম খুল্লা আলোচনাও করেন অভিনেতা। তাই বলাই যায়, এখন বেশ ভালই দিনযাপন করছেন তিনি। তবে এবার আমির খানের বাড়িতে দলে দলে ঢুকলেন আইপিএস অফিসাররা। হঠাৎই ২৫জন আইপিএস এর দল কেন এলেন তাঁর বাড়িতে? তখন কি অভিনেতা বাড়িতে উপস্থিত? এর আগে যখন 'সত্যমেব জয়তে'- সঞ্চালনা করতেন, তখন অনেক সময়ই পুলিশদের সঙ্গে ওঠাবসা করতে হত তাঁকে। কিন্তু বর্তমানে কেন?

 

পদস্থ পুলিশকর্তারা অভিনেতার বাড়িতে কেন, এই নিয়েই আলোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, সম্প্রতি তিনি নাকি মেঘালয় হানিমুন মার্ডার নিয়ে কাজ করছেন। তাই জন্যই কি বিপাকে জড়ালেন 'মিস্টার পারফেকশনিস্ট'?

 

আরও পড়ুন: নবাগতা নায়িকার সঙ্গে 'বর্ডার ২'-এ রোম্যান্স করবেন বরুণ? শাহরুখের ব্লকবাস্টার হিট রোমান্টিক ছবিকেও পিছনে ফেলল 'সাইয়ারা'

 

এই বিষয়ে প্রথমে মুখ না খুললেও আমিরের টিমের তরফে থেকে বর্তমানে বলা হয়েছে, ‘‘একটা আইপিএস দল আমিরের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, সেই কারণে অভিনেতা তাঁদের বাড়িতে ডাকেন।’’ ১৯৯৯ সালে আমির খান ‘সরফরোশ’ ছবিতে আমলার চরিত্রে অভিনয় করেন। সেখানে তাঁর করা পুলিশ আধিকারিক অজয় সিংহ রাঠৌরের চরিত্রটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, আইপিএস শিক্ষানবিশদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায় এই চরিত্রটি। তার পর থেকেই প্রতি বছর তিনি হবু আইপিএসের সঙ্গে দেখা করে সীমান্ত, দেশের নানা সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা করেন। এবারটাও তেমনই কিছু করেন।

বলিউডের অন্দরে এখন একটাই প্রশ্ন ‘পারফেকশনিস্ট’ আমির খান কি এবার নামছেন রিয়েল-ক্রাইম থ্রিলারের জগতে? খবর, কুখ্যাত মেঘালয় মার্ডার কেস নিয়ে জোরকদমে রিসার্চ শুরু করেছেন তিনি। যেখানে জড়িয়ে আছে —ইন্দোরের দম্পতি রাজা রঘুবংশী ও সোনম রঘুবংশীর নাম।সূত্রের দাবি, এই মুহূর্তে আমির ও তাঁর দল এই বাস্তব ঘটনার উপর ব্যাপক পড়াশোনা ও রিসার্চ চালাচ্ছেন। চূড়ান্ত চিত্রনাট্য বা এই ছবি সম্পর্কে ঘোষণা এখনও না হলেও, যেভাবে আমির খুঁটিয়ে তদন্ত করছেন, তাতে ইঙ্গিত মিলছে—এটা হতে চলেছে তাঁর পরবর্তী বড় থ্রিলার প্রজেক্ট।

 

কী এই ‘মেঘালয় মার্ডার কেস’? এই ঘটনাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, যেখানে সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে এক সাধারণ মধ্যবিত্ত দম্পতির নাম।রাজা ও সোনম রঘুবংশী, ইন্দোর থেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন মেঘালয়ে। এরপর ঘটে যায় এমন এক হত্যাকাণ্ড, যা পুলিশ, সংবাদমাধ্যম এবং সমাজ—তিন জায়গায়ই ব্যাপক আলোড়ন ফেলে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি ছবি বা সিরিজ তৈরি হয়, তাহলে বলাই যায়—এটা হবে বলিউডের পরবর্তী থ্রিলার সেনসেশন।

 


অন্যদিকে, আমির খান এর আগে 'সত্যমেব জয়তে' টিভি শো-এর মাধ্যমে সমাজ সচেতনতা ও বাস্তব কাহিনির সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন। এবার তাঁর এই রিসার্চ-প্রবণ পদক্ষেপ দেখে অনেকেই বলছেন—আসছে আবার সেই সিরিয়াস অথচ ঝাঁকিয়ে দেওয়া কনটেন্ট, যেটা কেবল আমির খান-ই দিতে পারেন।যেখানে অন্যান্য তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট আর ফটোশুটে ব্যস্ত, সেখানে আমির খান নিঃশব্দে তদন্ত করছেন একটি চাঞ্চল্যকর বাস্তব হত্যাকাণ্ডের গভীরে।

প্রজেক্ট এখনই শুরু না হলেও, এটা স্পষ্ট—এই গল্প বলার জন্য একজন আমির-ই যথেষ্ট।