আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরের ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে নতুন শ্রম আইন। তারপর থেকে নানা মহল থেকে নানা ধরণের কথা শোনা গিয়েছে। সবথেকে বেশি আলোচিত বিষয় ছিল বেতনভোগী ব্যক্তিরা হাতে কত টাকা পাবেন। সেখানে কত টাকা তাদের কাটা হবে। 


এখানে বহু মানুষ নানা মত দিয়েছেন। তবে যদি আসল অঙ্ক জানা থাকে তাহলে সেখান থেকে এবিষয়ে চিন্তার কিছুই নেই। একটি কথা সর্বদাই মনে রাখবেন যদি আপনার বেসিক বেতন বাড়ে তাহলে সেখান থেকে আপনার পিএফের টাকা বেশি কাটা হবে। যদি এটা হয় তাহলে সেখান থেকে আপনি হাতে কম টাকা পাবেন।


ভারতের শ্রম মন্ত্রক বিষয়টি আরও স্পষ্ট করেছে। তারা জানিয়েছে এবিষয়ে যে গুজব সর্বত্র দেখা গিয়েছে সেটি অর্থহীন। নতুন আইনের ফলে হাতে পাওয়া অর্থ থেকে কিছুই কাটা যাবে না। সেখানে পিএফ হবে প্রধান বিষয়। যদি এই নিয়ম চালু হওয়ার পর কোনও ব্যক্তির বেতন বাড়ে তাহলে সেখান থেকে তিনি কত টাকা পিএফ-এ দেবেন সেটাই হবে মূল চাবি। যদি তিনি পিএফে বেশি টাকা না দেন তাহলে সেখান থেকে তার হাতে আসা টাকার পরিমান বাড়বে।


বিষয়টি আরও স্পষ্ট করার জন্য শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে যদি কারও মাসিক বেতন যদি ৬০ হাজার টাকা হয় সেখানে তার বেসিক হবে ২০ হাজার টাকা। এরপরও তার পিএফ থাকবে ১৫ হাজার টাকা। 


পুরনো নিয়ম এবং নতুন কোড অনুসারে পিএফের টাকা পরিমান বাড়বে না। সেখানে প্রতিষ্ঠান দেবে ১৮০০ টাকা এবং আপনাকে দিতে হবে ১৮০০ টাকা। বাড়িতে আপনি নিয়ে যেতে পারবেন ৫৬ হাজার ৪০০ টাকা। 


এই ছবি স্পষ্ট করে দেওয়ার পরই অনেকের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। যেসব কর্মীরা নিজেদের হাতে পাওয়া বেতন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তারা অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।


নতুন শ্রম আইনের মূল বিষয়:
৪টি কোড: ২৯টি আইনকে ৪টি কোডে সরলীকরণ করা হয়েছে – মজুরি কোড, শিল্প সম্পর্ক কোড, সামাজিক নিরাপত্তা কোড, এবং পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ কোড।


বেতন কাঠামো: মোট বেতনের কমপক্ষে ৫০% মূল বেতন হতে হবে, যা পিএফ/গ্র্যাচুইটির অবদান বাড়িয়ে মাসিক বেতন কিছুটা কমাতে পারে, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে সুবিধা দেবে।


গিগ ও প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত: ফুড ডেলিভারি, গ্রসারি অ্যাপের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের গিগ ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা হয়েছে।


বিরোধ নিষ্পত্তি: জরিমানা ও নির্দিষ্ট অর্থ প্রদানের মাধ্যমে নিয়োগকর্তারা দ্রুত আইনি ঝামেলা এড়াতে পারবেন, এবং কর্মীরা বকেয়া পাওনা দ্রুত পাবেন।


শিল্প সম্পর্ক: মাঝারি ও বড় শিল্পে কর্মী নিয়োগ ও ছাঁটাইয়ের নিয়ম সহজ করা হয়েছে, যা বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হতে পারে।