আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা মিউচুয়াল ফান্ডে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, এর কারণ হল এই প্রকল্পের আকর্ষণীয় রিটার্ন। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য সাধারণত এসআইপি বেছে নেওয়া হয়। কারণ এর অধীনে, আপনি ছোট কিস্তিতে অর্থ বিনিয়োগ করে একটি বড় তহবিল তৈরি করতে পারেন।
আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্য জেনে নিন যদি ২০০০ টাকার মাসিক এসআইপি করা হয়, তাহলে কখন তা পাঁচ লক্ষ টাকার তহবিলে পরিণত হবে। এবার হিসাব দেকে নেওয়া যাক...
বিনিয়োগের পরিমাণ- প্রতি মাসে ২০০০ টাকা
রিটার্ন- ১২ শতাংশ
যদি কোনও ব্যক্তি মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে ২০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি ১১ বছর পর মেয়াদপূর্তিতে ১২ শতাংশ রিটার্ন হারে পাঁচ লক্ষ টাকা পাবেন। এই ১১ বছরে, ব্যক্তির মূলধন হবে ২,৬৪,০০০ টাকা। তবে, এই রিটার্ন বাজারের ওঠানামার উপর নির্ভর করে।
মিউচুয়াল ফান্ড
মিউচুয়াল ফান্ডের অধীনে, বিভিন্ন সম্পদ শ্রেণীতে (বন্ড, ঋণ এবং ইকুইটি) বিনিয়োগ করা হয়। তাই এটি কোনও একটি কোসংস্থার মালিকানা প্রতিফলিত করতে পারে না।
বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে আপনি আপনার পোর্টফোলিওকে আরও বৈচিত্র্যময় করতে পারেন।
উচ্চ বৈচিত্র্যের কারণে, এতে ঝুঁকি শেয়ারের তুলনায় কম।
এতে, তহবিলটি একজন মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপক দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই বাজার সম্পর্কে আপনার কম জ্ঞান থাকলেও, খুব বেশি ক্ষতি হয় না।
শেয়ার বাজার বনাম মিউচুয়াল ফান্ড, কোনটি ভাল?
বিনিয়োগকারীরা যদি চান, তাহলে তারা শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ড উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি আপনি খুব বেশি ঝুঁকি নিতে না চান এবং শেয়ার বাজার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু না জানেন, তাহলে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা ঠিক। যদি আপনার বাজার সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকে, তাহলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগব যুক্তিগ্রাহ্য।
সতর্কতা: নিজের দায়িত্বে যেকোনও আর্থিক বিনিয়োগ করুন, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
