আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাজারে জাল ৫০০ টাকার নোটের রমরমা। বেড়েছে ২০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যাও। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুসারে, গত এক বছরের মধ্যে দেশজুড়ে ৫০০ টাকার জাল নোট বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭.৩ শতাংশ। যা গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত বৃহস্পতিবার জাল নোট নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে চিহ্নিত ৫০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ৩৭.৩ শতাংশ। ২০২৩-২৪ সালে ৫০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা ছিল ৮৫,৭১১টি, যা ২০২৪-২৫ সালে বেড়ে হয়েছে ১,১৭,৭২২টি। এই সংখ্যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০০ টাকার নিচে জাল নোটের সংখ্যাও ১৩.৯ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে জাল ২০০ টাকার নোটের সংখ্যা ৩২,৬০০টি। অন্যদিকে, ১০০ টাকার জাল নোট কমেছে প্রায় ২৩ শতাংশ, বর্তমানে এর সংখ্যা ৫১,০৬৯টি।
২০০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা ৮৬.৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। বর্তমানে দেশে ৩,৫০৮টি জাল ২০০০ টাকার নোট রয়েছে। এই সংখ্যা গত অর্থবছরে সর্বোচ্চ ছিল ২৬,০৩৫টি। ২০০০ টাকার জাল নোট বৃদ্ধির জন্য তা বাজারে ছাড়া বন্ধ করা হয়েছিল। ব্যাঙ্কগুলির এই নোটগুলির ব্যাপক প্রক্রিয়াকরণকে দায়ী করা হয়েছিল।
২০২৩ সালের ১৯ মে ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০২৩ সালের ১৯ মে লেনদেন শেষ হওয়ার সময় ২০০০ টাকার নোটগুলির মোট মূল্য ছিল ৩.৫৬ ট্রিলিয়ন টাকা, যা চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল কমে ৬,২৬৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, বাজারে থাকা ২০০০ টাকার নোটের ৯৮.২৪ শতাংশ ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।
৫০০ টাকার জাল নোটের বৃদ্ধি সত্ত্বেও, ২০২৫ অর্থবছরে বিভিন্ন মূল্যের মোট জাল নোট সনাক্তকরণের সংখ্যা ২,১৭,৩৯৬ পিসে নেমে এসেছে, যা ২০১৪ অর্থবছরে ছিল ২,২২,৬৩৮টি। আরবিআই রিপোর্টে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জাল নোট সনাক্তকরণের ধারাবাহিক নিম্নমুখী প্রবণতা তুলে ধরা হয়েছে।
