আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিশোধ নিতেই কি আদিবাসী তরুণী প্রিয়ঙ্কা হাঁসদা'কে হত্যা? পূর্ব বর্ধমানে এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত অজয় টুডুকে গ্রেপ্তারের পর এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। পাশাপাশি অজয় কি ঘটনাস্থলে একা ছিল না তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল সেবিষয়েও অনুসন্ধান করছে পুলিশ। 

এবিষয়ে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, 'আমরা অভিযুক্ত অজয়কে আদালতের অনুমতি নিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। জিজ্ঞাসাবাদে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে।' তবে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, খুন হওয়া ওই তরুণীকে আগে থেকেই চিনত অজয়। এমনকী বেঙ্গালুরু থেকে একসঙ্গেই এরাজ্যে ফিরেছিল। যদিও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। 

গত ১৪ আগষ্ট মেয়েদের রাত দখলের রাতে পূর্ব বর্ধমানের নান্দুরে বাড়ির কাছেই পাওয়া যায় প্রিয়ঙ্কার দেহ। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় গলা কেটে তাঁকে খুন করা হয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের তরফে এই ঘটনার পর খুনির গ্রেপ্তারের দাবিতে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করা হয়। তরুণীর বাড়ি গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। 

ঘটনার নয় দিনের মাথায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে অজয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীন অজয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল প্রিয়ঙ্কার। কিন্তু সম্প্রতি সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরে। যা নিয়ে দু'জনের মধ্যে বচসাও হয়েছিল। ঘটনার দিন ডেবরার বাসিন্দা অজয় দুপুরেই গাংপুরে পৌঁছে যায়। রাতে প্রিয়ঙ্কা খুন হন। 

যে প্রশ্নগুলি পুলিশকে ভাবাচ্ছে বাড়ির কাছাকাছি শৌচাগারের পাশে খুন হওয়া সত্ত্বেও কেন কেউ কোনও চিৎকার শুনতে পেল না? তবে কি অজয় আগে থেকেই সেখানে লুকিয়ে অপেক্ষা করছিল না তার সঙ্গে কোনও সহযোগী ছিল? যে তাকে দুষ্কর্মে সহযোগিতা করেছিল। 

এর পাশাপাশি আরও যে প্রশ্নের উত্তর পুলিশ খুঁজছে সেটা হল অজয় কীভাবে জানল ওই তরুণী ওই সময়েই শৌচাগার যাবে? তরুণী কি তাকে তাঁর বাড়িতে আসতে বলেছিলেন? আর যদি আসতেই বলেন, তবে নিশ্চয় তাকে শৌচাগারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে বলবেন না! যদিও পূর্ব বর্ধমান পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর সমস্ত বিষয় পরিষ্কার হবে।