আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘার সৈকতে উপচে পড়েছে পর্যটকদের ভিড়। সকাল থেকেই সমুদ্রতটে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শীতের সকালের হালকা কুয়াশা, মাঝারি ঠান্ডা ও শান্ত সমুদ্র—সব মিলিয়ে বড়দিনের দিনে দিঘা যেন হয়ে উঠেছে আনন্দ-উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। পর্যটকরা কেউ সমুদ্রস্নানে মেতে উঠেছেন, কেউ বা সমুদ্রের ঢেউ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। অনেকেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ছবি তুলছেন এবং ছুটির আনন্দ উপভোগ করছেন।
পাশাপাশি দিঘার জগন্নাথধামে গিয়ে ঠাকুর দর্শন করছেন বহু পর্যটক। ধর্মীয় দর্শন ও পর্যটনের সমন্বয়ে এই দিনটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে। প্রশাসন সূত্র ও দিঘা হোটেলিয়ারস অ্যাসোসিয়েশন-এর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বড়দিনে দিঘায় সব মিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ গাড়ি ও বাসে করে সকালবেলায় দিঘায় এসে সারাদিন বনভোজন ও পিকনিকের আনন্দ উপভোগ করছেন। অনেক পর্যটকই দিনের দিন বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করেছেন।
নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছে প্রশাসন। সৈকত এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং ওয়াচ টাওয়ার থেকে সর্বক্ষণ নজরদারি চলছে, যাতে কোনো রকম অঘটনা না ঘটে। সমুদ্র বর্তমানে উত্তাল নয়, ফলে পর্যটকেরা স্বস্তিতে সময় কাটাতে পারছেন। সব মিলিয়ে ক্রিসমাসের আনন্দ ও উদ্দীপনায় এদিন দিঘার পরিবেশ হয়ে উঠেছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত। যারা সমুদ্রে স্নান করছেন তাঁদের সুরক্ষার জন্য সমুদ্রে স্পিডবোটে করে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।
এই দিনে এবং ইংরেজি বর্ষবরণের দিনে হোটেল ও রিসর্টগুলিতে ঘর বুকিংয়ের জন্য ঘনঘন ফোন বেজে উঠেছে রিসেপশনে। যাদের অনলাইন বুকিং ব্যবস্থা আছে তাদের হোটেল ও রিসর্টের ঘর অনলাইনেই সেরে ফেলেছেন পর্যটকরা। আবার যাদের নেই তাদের ক্ষেত্রে ফোনের মাধ্যমেও বুকিং করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যদিনের তুলনায় এদিন সৈকতে যেমন পুলিশ কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে তেমনি নজরদারি চালাতে ভিড়ের মধ্যে মিশে আছেন সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা। সতর্কতা হিসেবে মাঝে মাঝেই করা হচ্ছে মাইকিং।
