আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলেজ ছাত্রীকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ প্রতিবেশীর যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত রঘুদেবপুরে। ছাত্রীর নাম চন্দ্রাণী নস্কর। বয়স ১৯ বছর। বুধবার বাঙুর হাসপাতালে ছাত্রীটির মৃত্যু হয়। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত যুবকের ভাঙচুর করে উন্মত্ত জনতা। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগীতার অভিযোগ পরিবারের। তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার যুবক বিশাল নস্কর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন চন্দ্রাণীকে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না তিনি। এই নিয়ে বিশাল তাঁকে মাঝে মধ্যেই রাস্তায় উত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ। গত ২৫ নভেম্বর চন্দ্রাণীকে রাস্তায় আটকে তাঁকে পানীয় জলের সঙ্গে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে ওই পড়ুয়া মায়ের কাছে গোটা বিষয়টি জানান। পরিবারের লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানেই দীর্ঘ একমাস ধরে প্রাণের লড়াই করছিলেন ওই তরুণী। শেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
মৃত কলেজ ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে বিষ খাওয়ানো হয়। দীর্ঘ এক মাস ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল চন্দ্রাণী। বুধবার তাঁর মৃত্যুর হয়।
অন্যদিকে, বিশালের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মালদহে টিউশন থেকে ফেরার পথে ছুরির আঘাতে আহত হয় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ থানার সাহাপুর অঞ্চলের রায়পুর জোত গোবিন্দ গ্রামে। পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলেই দশম শ্রেণীতে পড়ে। অভিযুক্ত সুরজিৎ মণ্ডল প্রায়শই স্কুলে যাওয়ার পথে তাদের মেয়েকে কটুক্তি করত।
মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতো টিউশন থেকে একাই বাড়ি ফিরছিল সে। সেই সময় তার পিছু নেই সুরজিৎ। এর পরেই আচমকা গলায় কোপ বসায়। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসে পরিবার। বর্তমানে আহত ছাত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
