আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিকিম পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বিরাট এলাকা। বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে দার্জিলিং। সোমবার রাতে হওয়া এই প্রবল বৃষ্টিতে সিকিমের রাজপথ ভেসে গিয়ে সাময়িকভাবে প্রায় নদীর আকৃতি নেয়। সেইসঙ্গে প্লাবিত হয়েছে সমতলও।
জানা গিয়েছে, সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা। অতিভারী বৃষ্টির জন্য এই পাহাড়ি নদীর জলে ভেসে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়কের উপর রবি ঝোরার লিখুভির এলাকায় হয়েছে ভূমিধস। যার জেরে সিকিম-কালিম্পং-শিলিগুড়ি যাতায়াত আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে ব্যাহত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সেভক ও রংপোর মধ্যে যান চলাচল। জানা গিয়েছে, সোমবার ওই অতিভারী বৃষ্টির জন্য সিকিমের গ্যাংটক শহরে কাদামাটিতে প্রচুর সংখ্যক বাইক আটকে গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় প্রশাসনের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলায় নেমেছে এসএসবি'র ৭২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
পাহাড়ে এই ভারী বৃষ্টির কারণে প্রভাব পড়েছে সমতলেও। সমতলেও তিস্তা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। গাজলডোবা থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এই নদীর দু'পাশের কয়েকশো বিঘা জমি এই মুহূর্তে জলের নিচে। জলবন্দি হয়ে আছেন এই এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। এমনিতেই বর্ষার বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে সোমবার রাতে পাহাড়ে ওই ভারী বৃষ্টির প্রভাব। তিস্তার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়। সতর্ক করা হয় তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। কিন্তু সতর্ক করেও কিছু লাভ হয়নি। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে।

তাঁদের কথায়, তিস্তার চরে লংকা, বেগুন ঢেঁড়স-সহ বিভিন্নরকম শাকসবজির চাষ করা হয়। প্রতিবছর স্থানীয় বাসিন্দারা এই চাষ করে থাকেন। যা বিক্রি করে দু'পয়সা উপার্জন করেন তাঁরা। কিন্তু আপাতত কয়েকশো বিঘা জমির ফসল চলে গিয়েছে জলের তলায়। যার জেরে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয়রাও দাবি তুলেছেন তিস্তার এই 'অভিশাপ' থেকে মুক্তি দিতে রাজ্য ও কেন্দ্র, দুই তরফেরই ভাবনাচিন্তা প্রয়োজন। রংধামালি এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের এসসি, এসটি ও ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস বলেন, 'তিস্তা নদী নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে ভাবতে হবে। নচেৎ আগামীদিনে আরও বড় ও ভয়াবহ পরিণতি হবে। কৃষকদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা দেখা দরকার।'
আরও পড়ুনঃ বেঙ্গালুরুর রাস্তায় তিন যুবতীকে অনুসরণ তিন অজ্ঞাত যুবকের, ভিডিও ভাইরালে আতঙ্ক
যদিও এখনও দুশ্চিন্তা যায়নি। কারণ, আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বৃষ্টির জোর যত বৃদ্ধি পাবে ততই শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসবে তিস্তা। আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুনঃ ইনিই ভারতের 'সবচেয়ে দরিদ্র মানুষ', মধ্যপ্রদেশে চাঞ্চল্যকর ঘটনা, সত্য জানলে ভিরমি খাবেন
