আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রাক্তনের ফোন পেয়ে কান্না ধরে রাখতে পারলেন না বর্তমান। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নিলেন তাপস মুখার্জি। তাপস তৃনমূল তৈরীর আগে থেকে বাঁশবেড়িয়ার কাউন্সিলর। বছর পনেরো আগে তাঁর একবার চেয়ারম্যান হওয়ার কথা ছিল। সে সময় বর্ষীয়ান রথীন দাস মোদককে চেয়ারম্যান করেছিল দল।
তারপর একাধিক চেয়ারম্যান বদল হয়েছে। কিন্তু তাপস মুখার্জির শিকে ছেঁড়েনি। গত লোকসভা ভোটে হুগলি লোকসভার তৃনমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এলাকায় প্রায় বারো হাজার ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিলেন। দল সেই কার দেখিয়ে চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীকে পদত্যাগ করতে বলে। গত ১১ নভেম্বর আদিত্য নিয়োগী পদত্যাগ করেন। আজ বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের শপথ নেন তাপস মুখার্জি।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম ফোন পান প্রাক্তন চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর। আদিত্য রাজনৈতিক সতীর্থ। তাঁর ফোন পেয়ে বস্তুত কেঁদে ফেলেন তাপস। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
পাশে ভাইস চেয়ার পারসন শিল্পী চট্টোপাধ্যায়কে বসিয়ে নতুন চেয়ারম্যান বলেন, "হয়ত আমাদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ছিলো না। হয়ত আমাদের অহংকার হয়ে গিয়েছিল। মানুষের দাবি পূরন হয়নি। তাই সবার কাছে যেতে হবে। পুরসভার কাজ ভালো করে করতে হবে। আমার সময় কম। পুরসভার হাসপাতালটা আরেকটু ভালো করতে হবে ।মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব। পুর মন্ত্রীর কাছেও যাব। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী কাজ হবে। হাসপাতালে অনেক বয়স্ক মানুষ আসেন। তাঁদের জন্য একটা লিফট করতে হবে। আশাকরি সবার সহযোগীতা পাব। সব দলেই কোন্দল আছে। আমাদের সেসব ওভার কাম করতে হবে।"
সিপিআইএম বাঁশবেড়িয়া এড়িয়া কমিটির সদস্য রুদ্র চক্রবর্তী বলেন," বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান কে হলো তা নিয়ে মানুষের মাথা ব্যাথা নেই। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার মানুষ পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। রাস্তা জল নিকাশি স্বাস্থ্য সব কিছু থেকেই। এখানকার সমাজ সেবিরা সব ঠিক করে।যে কমিশন বেশি দিতে পারবে সে চেয়ারম্যান হবে এতে সাধারন মানুষের কোনও উপকার হয়না।"
