আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফার্মেসির ট্রেনিং নিতে গিয়েছিলেন ছাত্রী। সেখানে গিয়ে চরম নির্যাতনের শিকার হলেন তিনি৷ জানা গিয়েছে, হাসপাতালেরই এক অস্থায়ী কর্মী ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁর গাইঘাটা থানার গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়৷ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে৷ গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ওই কর্মীকে৷ ঘটনা ঘিরে বর্তমানে ব্যাপক শোরগোল হাসপাতাল চত্বরে।
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, ঘটনাটি গতকাল অর্থাৎ সোমবারের৷ নির্যাতিতা ফার্মেসি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ট্রেনিং নেওয়ার জন্য ওই তরুণী চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে ওই একই হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী অভিযুক্ত রতন মালাকার। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সে ওই হাসপাতালে কর্মী হিসেবে নিযুক্ত ছিল। তার বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়ায়। অভিযোগ, গতকাল ওই তরুণী শৌচালয়ে যান৷ সেখান থেকে ফেরার সময় অভিযুক্ত তাঁর পথ আটকায়৷ জানা গিয়েছে ছাত্রীকে নানারকম কু প্রস্তাবও দেয় অভিযুক্ত৷ কোনওমতে ছাত্রী সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন৷ পরে তিনি স্থানীয় গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ৷ ঘটনার দিন রাতেই অভিযুক্ত কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তকে পুলিশ জেরা করে৷ মঙ্গলবার অভিযুক্তকে বনগাঁ মহকুমা আদলতে তোলা হয়েছে৷ ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতালের মহিলা রোগীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনা ঘিরে বর্তমানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও কথা বলতে নারাজ।
