আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশন এসআইআর শুনানিকে কার্যত এক ধরনের শাস্তিমূলক প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত করেছ বলে অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের এক্স হ্যান্ডেলে এবিষয়ে ছবি পোস্ট করে সেখানে লেখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে প্রবীণ, গুরুতর অসুস্থ ও শয্যাশায়ী নাগরিকদের ভোটাধিকার বজায় রাখার নামে হাজিরা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটি মানবিকতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।
অভিযোগ, বহু প্রবীণ নাগরিককে হুইলচেয়ারে করে শুনানিস্থলে নিয়ে আসা হচ্ছে, লাইনে দাঁড় করানো হচ্ছে এবং শারীরিক অক্ষমতা উপেক্ষা করেই হাজিরা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থতার মধ্যেও তাঁদের এইভাবে উপস্থিত হতে বাধ্য করা একেবারেই অমানবিক আচরণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল।
সমালোচকদের মতে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ক্লান্ত, ভীত ও মানসিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে, যাতে নীরবে তাঁদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া যায়। ভোটাধিকার, যা সংবিধানপ্রদত্ত এবং অখণ্ড অধিকার, তাকে যেন ইচ্ছামতো ব্যবহারযোগ্য সুবিধায় পরিণত করা হচ্ছে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে—বাংলা মাথা নত করবে না।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ ভৌমিক বলেন, “প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে যাচাই করার বদলে নির্বাচন কমিশন তাঁদের শুনানিতে ডেকে পাঠাচ্ছে। আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখছি, কতজন মানুষ গুরুতর শারীরিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।” তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের মূল চেতনাকেই আঘাত করছে। নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকারকে ‘ব্যবহার করে ফেলার মতো’ ভাবা হলে তার জবাব মানুষ দেবে ব্যালট বাক্সে। যারা জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে, তাদের বিচার হবে গণতান্ত্রিক উপায়েই—ভোটের মাধ্যমে।
