আজকাল ওয়েবডেস্ক: চাউমিনের লোভ দেখিয়ে সাত বছরের নাবালিকাকে খুন! দোষ স্বীকার করল অভিযুক্ত। ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ার। অভিযোগ সাত বছরের নাবালিকাকে খুন এবং তারপর তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।

 

পুলিশ সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ এলাকায় নাবালিকার বাড়ি। মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল সে। এরপর পরিবার নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে থানায়। তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

 

জানা গিয়েছে, পুলিশ নেপাল সীমান্ত থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত স্বীকার করে নেয় সে মেয়েটিকে খুন করেছে। ডাল্টাবাড়ি এলাকায় একটি ঝোপের আড়াল থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে এসডিপিও প্রশান্ত দেবনাথ জানান, 'মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নেপাল সীমান্ত থেকে। আরও দু' জন তার সঙ্গে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।' ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, 'প্রথমে যখন মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন অপহরণ মামলা দায়ের হয়েছিল। পকসো ও খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।' পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর সমস্ত বিষয় জানা যাবে। 

 

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা যাচ্ছে, মূল অভিযুক্ত বাবলু মিঞা(৫০)-সহ তিনজন মদ্যপ অবস্থায় ঐ নাবালিকাকে চাউমিন দেওয়ার নাম করে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। সিসিটিভি ক্যামেরায় ফুটেজ পাওয়া যায় বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে।