অতীশ সেন, ডুয়ার্স: এশিয়ান হাইওয়েতে দুর্ঘটনা কমাতে জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার উদ্যোগী। অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক-সহ এশিয়ান হাইওয়ের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি গয়েরকাটা চৌপথীতে পৌঁছান।

 

 গয়েরকাটা চৌপথীতে এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮-এর উপর ৯০ ডিগ্রীর বেশি একটি বাঁক রয়েছে। এই বাঁক ঘুরতে গিয়ে দ্রুতগতিতে থাকা ভারী যানবাহন প্রায়শই উল্টে যায়। বাঁকের কারণেই দৃশ্যমান্যতা ঠিক না থাকায় গাড়ি চালকেরা সমস্যায় পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান রাস্তা চওড়া করার পর বিগত কয়েক বছরে ৫০টির বেশি বড় গাড়ি এই একটি জায়গাতেই পাল্টি খেয়েছে। রাস্তা চওড়ার সময় রাস্তার দুই দিকে পূর্ত দপ্তরের জমিতে থাকা দোকানগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ভাঙা হলেও এই জায়গায় বাঁকটিকে কমাতে বা রাস্তা সোজা করার জন্য তেমন কোনও উদ্যোগ কোনও কারণে নেওয়া হয়নি। যার জেরেই নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা, রাস্তাটিও হয়ে উঠেছে অত্যন্ত বিপজ্জনক। 

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার খন্ডবাহলে উমেশ গণপত এই এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করেন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) অরিন্দম পাল চৌধুরী, এস.ডি.পি.ও ধূপগুড়ি গিয়ালসেন লেপচা, বানারহাট থানার আইসি সমীর দেওসা-সহ অনেকে।

 

 এশিয়ান হাইওয়ে বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকেরাও সেখানে উপস্থিত হন। দুর্ঘটনা কমাতে পুলিশ সুপার বেশ কিছু প্রস্তাব এশিয়ান হাইওয়ে বিভাগের আধিকারিকদের সামনে রাখেন। ডিএসপি (ট্রাফিক) অরিন্দম পাল চৌধুরী জানান- 'বাঁকের সঙ্গেই 'ব্লাইন্ড স্পট' বা চালকের আসন থেকে দেখা যায় না এমন জায়গার কারণে জায়গাটি দুর্ঘটনাপ্রবন। এই ব্লাইন্ড স্পট ভিজিটের জন্যই পুলিশ সুপার এসেছিলেন। গতি কমাতে স্পিড ব্রেকার লাগানো, রাস্তাটির সার্ফেস ঠিক রাখা এবং ব্লাইন্ড স্পট কমাতে রাস্তার বাঁকে আয়না লাগানোর কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ে বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারেরা বিষয়টি দেখছেন।'