আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি এক শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভয়ানক অভিযোগ এসছে। জানা গিয়েছে শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী'র বেধড়ক মারধরে হাসপাতালে ভর্তি তাঁরই ১২ জন ছাত্রী। বীরভূমের রামপুরহাটে ঘটনাটি ঘটেছে৷ এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। অভিযোগের তির ওই স্কুলেরই জীববিদ্যার শিক্ষক কে। খবর অনুযায়ী শিক্ষক কে. আলম ও তাঁর স্ত্রী মাসুমা আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় আহত ওই ছাত্রীরা বর্তমানে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হসপিটালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য।
খবর মারফত ঘটনাটি রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডের সুন্দিপুর এলাকার একটি স্কুলে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক কে. আলম ও তাঁর স্ত্রী মাসুমা আলম ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন দীর্ঘদিন ধরেই। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের সঙ্গে স্কুলের পরিচালন কমিটির অশান্তি চলছিল। এমনকি পরিচালন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা বেশ কয়েকবার তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কে. আলম যখন ক্লাস করাতে যান তখন ওই ক্লাসের ছাত্রীরা তাঁর ক্লাস করতে রীতিমত অস্বীকার করে। এমনটা বেশ ক'দিন ধরেই চলতে থাকে৷ কিছুক্ষণ ছাত্রীদের সঙ্গে কথাবার্তার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই শিক্ষক। শুরু করেন ছাত্রীদের মারতে। যোগ দেন তাঁর স্ত্রী।
অভিযোগ, ছাত্রীদের চুলের মুঠি ধরে তাদের বেধরক মারধর করা হয়। ভয়ে চিৎকার করতে থাকে ছাত্রীরা। তারা মাটিতে লুটোপুটি খেয়ে কাঁদতে থাকে। ছাত্রীদের আর্তনাদে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্কুলে। ঘটনার জেরে হতচকিত হয়ে যান স্কুলে উপস্থিত অন্যরা। চেঁচামেচিতে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পরিচালন কমিটির সদস্যরা। ঝামেলার আভাস পেয়ে ছুটে চলে আসেন স্থানীয়রাও । তাঁরা এবং পরিচালন কমিটির সদস্যরা আহত ছাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
নির্মম ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সকলেই। স্কুল আবাসনের মালিক বলেন, ছাত্রীরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ করেছিল। এই ঘটনার পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। পাশপাশি স্কুল হস্টেলের ইনচার্জ জানান, ঘটনায় ছাত্রীরা এতই আতঙ্কিত ছিল যে তারা ভয়ে কাঁপছিল। কিছু বলতেও পারছিল না। তাদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নিজের ৫ বছরের মেয়েকে খুন করে মৃতদেহের সামনেই পার্টি! উদ্দেশ্য স্বামীকে ফাঁসান, হাড়হিম সত্য জানুন ...
ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন, ছোট ছোট মেয়েদের এভাবে মারা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্তরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়। যদিও অভিযুক্তের মেয়ে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁর বাবাকেই। তাঁর দাবি, বাবা কিছু ভুল করেননি। মেয়েরা আগ্রাসী আচরণ করেছে। আইনিভাবে যা পদক্ষেপ নেওয়ার সেটা নেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে স্কুল চত্বরে নজরদারি জারি রয়েছে।
