আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশিদের জন্য এদেশের দরজা হাট করে খুলে যাক সেটা চায় না আরএসএস। বরং পড়শি দেশ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা সেখানেই থাকুক মাথা উঁচু করে এবং অবশ্যই 'হিন্দু' হিসেবে‌। যার জন্য উদ্যোগী হোক ভারত সরকার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি। সংঘ সূত্রে জানা গিয়েছে এ খবর। সংঘের মতে, এর আগে বাংলাদেশে যখনই সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার হয়েছে তখনই প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা ছুটে এসেছেন এদেশে। তা সে দেশভাগের পর হোক বা ১৯৭১ সালেই হোক। এমন ঘটনাও ঘটেছে বহু পরিবার সকলকে নিয়ে একসঙ্গে এদেশে আসতে পারেননি। ওই দেশেই রয়ে গিয়েছিল তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যরা। বা যাঁরা এসেছেন তাঁরা জমি-জায়গা সবকিছু ফেলে এদেশে আসতে বাধ্য হয়েছেন। 

 

 

দেখা গিয়েছে, পরে পরিবারের বাকি সদস্যদের খোঁজ করে অনেকেই আর পাননি বা যারা জমি জায়গা ফেলে এসেছিলেন তাঁদের সবকিছু জবরদখল হয়ে গিয়েছে। ওই সূত্রটির মতে, বারংবার এভাবে চাপের কাছে মাথা নত করে ক্ষতি হচ্ছে সেদেশের সংখ্যালঘুদেরই। ফলে সুদুরপ্রসারী এই ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি নতুন করে যাতে সংখ্যালঘুরা না হন তার জন্যই বাংলাদেশে নিজের জায়গায় তাঁদের থাকা উচিত এবং এর জন্য ভারত সরকার ও বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলির এগিয়ে আসা উচিত। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই পড়শি দেশের বিভিন্ন স্থানে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।  যা ধীরে ধীরে যেখানে যেখানে অত্যাচার হচ্ছে সেইসব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। একইসঙ্গে এপারেও এসে পড়েছে পড়শি দেশের উত্তাপ। প্রতিবাদ মিছিল থেকে সভা, সবই হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ঘটনায় তিনি মর্মাহত। 

 

 

সেইসঙ্গে তিনি প্রস্তাব রেখেছেন কেন্দ্র যেন রাষ্ট্রসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তি সেনা পাঠানোর আর্জি জানায়।  প্রতিবাদ করেছে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল। তৈরি হয়েছে 'বাঙালি হিন্দু সুরক্ষা সমিতি' নামে একটি সংগঠনের। যেখানে সঙ্ঘের বেশ কয়েকজন কার্যকর্তা আছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর এই সংগঠনের তরফে ধর্মতলায় একটি মানব বন্ধন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সঙ্ঘের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলের কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অনেকের ছুঁৎমার্গ থাকতে পারে। কিন্তু এই সংগঠনের নেতৃত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী নয়। ফলে আমরা আশাবাদী সকলেই এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসবেন।