মিল্টন সেন,হুগলি: শহরের রাস্তাঘাট বেহাল। সামনেই দুর্গা পুজো। সকাল হলেই অভিযোগের পাহাড়। নাজেহাল বিধায়ক। রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে গত শুক্রবার কেএমডিএ এবং পূর্ত দপ্তরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। সময় বেঁধে দিয়েছিলেন রাস্তা সংস্কারের। তোলাফটক থেকে সাঁকোমোর পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা দীর্ঘদিন। সেই রাস্তা কেন সারানো হয় না। তার জন্য সরকারি দুই দপ্তরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন শাসক দলেরই বিধায়ক। মঙ্গলবার সকালে রাস্তার কাজ শুরু হলেও কাজের গতি দেখে ক্ষিপ্ত হন বিধায়ক।
রাস্তাতেই ধর্নায় বসে যান। দ্রুত রাস্তা সংস্কার না হলে তিনি উঠবেন না বলেও জানান। জেলা শাসক মুক্তা আর্যর সঙ্গে ফোনে কথা বলে কেএমডিএ ও পূর্ত দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ, হুগলি জেলা সদর শহর চুঁচুড়ার অলিগলির রাস্তা সহ বড় রাস্তাগুলোর অবস্থাও বেহাল। নিত্যদিন দূর্ঘটনা ঘটছে। সকাল হলেই এলাকার বাসিন্দারা ফোন করে তাঁকে অভিযোগ করেন। অবিলম্বে রাস্তার কাজ চালু করা না হলে ধর্নায় বসার কথা বলেছিলেন তিনি। তারপরই পূর্ত দপ্তরের তরফে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলা হয়। রাস্তায় পাথর ফেলা হয়, রোলার আনা হয়। কাজও শুরু হয়। কিন্তু একদিন কাজ করার পর আবার বন্ধ হয়ে যায় কাজ। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে এদিন তোলাফটকে যান বিধায়ক। কাজ হচ্ছে না দেখে অবস্থানে বসেন। বিধায়ক অভিযোগ করেন, অত্যন্ত নিম্ন মানের কাজ করছে। রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে। পূর্ত দপ্তর কেএমডিএ কারোর কথা শোনে না। তোলাফটক থেকে সাঁকোমোর প্রায় ছশো মিটার রাস্তা বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন।
বিধায়ক অভিযোগ করেন, মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন, ওরা কাজ শুরু করে আবার পালিয়ে গেছে। বিধায়কের প্রশ্ন, এজেন্সির সঙ্গে অফিসারদের কিসের সম্পর্ক।
