আজকাল ওয়েবডেস্ক: টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে গলায় চাকুর কোপ মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ থানার সাহাপুর অঞ্চলের রায়পুর জোত গোবিন্দ গ্রামে। বর্তমানে ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহত অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী স্থানীয় এক স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। অভিযুক্ত যুবকের নাম, সুরজিৎ মণ্ডল। আহত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, মেয়ে যখন স্কুলে যেত তখন প্রায়শই সুরজিৎ মন্ডল কটুক্তি ও বাজে কথা বলতেন। বিষয়টি বাড়িতে জানিয়েছিল ওই ছাত্রী। এরই মধ্যে পড়াশোনার জন্য বাইরে শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যেত।
গতকাল মঙ্গলবার প্রতিদিনের মত টিউশন পড়ে একাই বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় ফাঁকা রাস্তার সুযোগ নিয়ে সুরজিৎ মণ্ডল ছাত্রীর পিছু নেন। এরপরই ওই যুবক হঠাৎ কিশোরীর গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করেন। হামলার পরেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েই চিৎকার শুরু করে।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্থানীয়রা ছুটে আসতেই অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসে পরিবার। বর্তমানে আহত ছাত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে মেডিক্যাল কলেজে।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমী পারভিন বলেন, পুলিশি নিরাপত্তায় গাফিলতি রয়েছে। রাস্তায় মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার দ্বায়িত্ব পুলিশের। ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মালদহ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসের শেষে আরও এক ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল রাজ্যে। লাগাতার ধর্ষণের জেরেই অন্তঃসত্ত্বা ১২ বছরের এক কিশোরী। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নির্যাতিতার এক প্রতিবেশী দাদার বিরুদ্ধে। তবে এখনও পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। থানায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘিরে লিখিত অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুরে। জানা গেছে, নির্যাতিতার ঠাকুমা জানিয়েছেন, তাঁদের একটি চায়ের দোকান আছে। সেখানেই ওই অভিযুক্ত তরুণ দিনের পর দিন রাতের অন্ধকারে এসে নাতনিকে ধর্ষণ করত। এর জেরেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছে ওই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তবে এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী তিন মাসের গর্ভবতী। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানায়। গত কয়েক মাস ধরে খুনের হুমকি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল বলে জানিয়েছে নির্যাতিতা কিশোরী। দিন কয়েক আগেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর কাঁদতে কাঁদতে যৌন হেনস্থার বর্ণনা দেয় সে। এরপরই বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।
