আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ির উঠোন, নিজের ঘর, যে কোনও মানুষের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত জায়গা। আর সেখান থেকেই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গেল। পরে উদ্ধার হল ১০ বছরের নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ।

 

শনিবার সন্ধেয় নাগরাকাটার আংরাভাসার গ্রামে, বাড়ির উঠোন থেকে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ। ওই নাবালিকার নাম সুশীলা গোয়ালা ( ১০) ওরফে লীলাবতী । আংরাভাসা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খেরকাটা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নাবালিকা এলাকার কলাবাড়ি- খেরকাটা বিএফপি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। বাড়ি দক্ষিন খেরকাটায়।

 

  ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে, সঙ্গে প্রবল আতঙ্ক। ঘটনার কথা শুনে, বনকর্মীরা সেখানে গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। বন দপ্তরের গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের এডিএফও রাজীব দে বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নাবালিকার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করা হবে। সেখানে খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বনকর্মীরা এলাকায় রয়েছেন। '

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ি লাগোয়া পুজোর আসর থেকে ফিরে হাত পা ধুয়ে ঘরে ঢুকছিল সুশীলা। সেখানে আগে থেকেই ঘাঁটি গেড়ে থাকা একটি চিতাবাঘ পিছন থেকে হামলা চালায়। গলায় কামড় দিয়ে টেনে নিয়ে যায় পাশের ডায়নার জঙ্গলে। সে সময় ওই নাবালিকার বাড়িতে বাবা- মা ছিলেন না। 

 

স্থানীয়রা টের পেতেই ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দেখে জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যান। সেখান থেকেই সুশীলার নিথর দেহ উদ্ধার হয়। গোটা গ্রাম ঘটনাস্থলে চলে আসে। 

 

সুশীলার বাবা রাম সুরেশ গোয়ালা পেশায় দিনমজুর। মা পুজা গোয়ালা গাঠিয়া চা বাগানে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁরা বাড়ি ফিরে এসে কন্যার এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতির কথা জানতে পারেন।