আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসআইআর আবহে অগ্নিগর্ভ ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি।  বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুরের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ। উত্তেজনার পারদ চড়ে যায়। ঘটনার জন্য দুই পক্ষ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।

 

অভিযোগ উঠেছে, বুধবার মতুয়াদের একটি অংশ শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে  তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যায়। সেখানে তারা প্রহৃত হন বলেই তাঁদের দাবি।  মমতা ঠাকুর ঘনিষ্ঠ মতুয়া সম্প্রদায়ের অভিযোগ, বিজেপির ক্যাডাররা বেধড়ক মারধর করেছে তাঁদের। যদিও ঘটনার সময় শান্তনু ঠাকুর ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। পাল্টা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, তাঁরা মোটেই মমতা ঠাকুরের বাহিনীর উপরে হামলা করেননি। উল্টে, মমতা ঠাকুরের অনুগামীরাই তাঁর বাড়িতে মামলা করেছিল। তিনি জানিয়েছেন মমতা ঠাকুরের অনুগামীরা তাঁর বাড়িতে হামলা করায় তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, বাড়িতে হামলা করলে চুপ করে বসে থাকা হবে না। 

 

 সম্প্রতি শান্তনু ঠাকুরের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। মতুয়া সম্প্রদায়ও এই বক্তব্য নিয়ে ধন্ধে। শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছেন, এসআইআর তালিকায় যদি মতুয়াদের নাম বাদ যায় তা নিয়ে অসুবিধার কিছু নেই।  শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য ছিল ,  ‘‘৫০ লক্ষ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলিম, পাকিস্তানি মুসলিমকে বাদ দিতে যদি আমার সম্প্রদায়ের এক লক্ষ মানুষকে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে হয় তাতে কোনটা লাভ?’’

 

বাগদার একটি সভা থেকেও সিএএ নিয়ে আওয়াজ তোলেন শান্তনু। তাঁর দাবি, ‘‘সিএএ অত্যন্ত একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিএএ করা মানে কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করা। সিএএ কারা করবেন, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তাঁদের সিএএ করতে হবে। ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড থাকলেই নাগরিক হওয়া যায় না। সেই কারণে সিএএ বানানো হয়েছে।’’

 

 শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের যে মানুষদের নাম এসআইআর-এর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তাদের নাম সিএএ -র মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এটাই তিনি বলেছেন বলে দাবি করেছেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নাম বাদ যাওয়া এসআইআর-এর অত্যন্ত সদর্থক দিক এবং রোহিঙ্গাদের নাম বাদ পড়লে তাদের নাম আর অন্তর্ভুক্ত করার কোন পথ খোলা নেই কিন্তু মতুয়াদের ক্ষেত্রে সেই পথ খোলা রয়েছে বলে তিনি জানান। তাঁর এই বক্তব্যকে অপব্যাখ্যা, মতুয়া সম্প্রদায়কে উস্কানি সবই-র নেপথ্যে মমতা ঠাকুর ও তৃণমূল বলে তিনি অভিযোগ করেন।

&t=474s

 

এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর জানান, মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ক্যাম্প থেকে মতুয়া কার্ড, ধর্মীয় শংসাপত্র নিয়েও নাম বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কেন এই বিষয়টি করা হয়েছে তার জবাব চাইতে গেলে মারধর করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।