আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর-এর শুনানি। সেই শুনানিতে ডাকা হল রাজ্যের মন্ত্রী ও মালদার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন-এর আমেরিকা নিবাসী কন্যাকে। এর পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগণার বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পরিবারের চারজন সদস্যকেও শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন সাংসদ এবং মন্ত্রী দু'জনেই।
জানা গিয়েছে, কাকলির মা, ৯০ বছর বয়স্কা ইরা মিত্র ছাড়াও শুনানিতে ডাকা হয়েছে সাংসদের দুই পুত্র ও পেশায় চিকিৎসক বিশ্বনাথ দস্তিদার এবং বৈদ্যনাথ দস্তিদারকে। কাকলির ছোট বোন পিয়ালি মিত্রকেও ডাকা হয়েছে শুনানিতে। কাকলির দুই পুত্র কলকাতার ভোটার। মা ও বোন উত্তর ২৪ পরগণার ভোটার। তাঁরা দু'জনেই মধ্যমগ্রামের দিগবেরিয়ায় ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দেন। সেই হিসেবে সাংসদ পুত্রদের কলকাতায় এবং মা ও বোনকে বারাসত ২ নম্বর ব্লকে শুনানিতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে মধ্যমগ্রাম বিধানসভা ১১৮ ২৩২ নম্বর পার্টের বিএলও কপিল আনন্দ হালদার জানান, ১৬ই ডিসেম্বর খসড়া তালিকায় যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার-এর পরিবারের নাম ছিল। তাঁর দাবি, এনুমারেশন 'ফর্ম ফিল আপ' করার ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কোনরকম সমস্যার কারণে এসআই আর শুনানিতে ডাকা হয়েছে।
অন্যদিকে মালদার কালিয়াচকের চাঁদপুরের বাসিন্দা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন-এর বড় মেয়ে ফিজা বিন্তে আলম আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। জানা গিয়েছে, বাবার নামে 'মিস ম্যাচ'-এর কারণে তাঁকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। এবিষয়ে প্রশাসনের একটি অংশের দাবি অনুযায়ী, এসআইআর ফর্ম অনেকেই অনলাইনে পূরণ করেছেন। তাতে অনেক সময় ভুল হয়ে থাকতে পারে। তবে মন্ত্রীর মেয়ের ভুলের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই তাদের দাবি।
এবিষয়ে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, "নির্বাচন কমিশন এসআইআরের নাম করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। এটা শুধু আমার মেয়ের ক্ষেত্রেই নয়, অনেক সাধারণ ভোটারকেও নোটিস পাঠিয়ে ডাকা হয়েছে। এতে কিন্তু বিজেপির কোনো লাভ হবে না।"
